
টস ভাগ্য প্রথমেই সাথ দিয়েছিল। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্লে অফের ওঠার জন্য মরিয়া চেষ্টা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সানরাইজার্সের হায়দরবাদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটং করল রোহিত শর্মার দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে করল ২৩৫ রান। মুম্বইয়ের হয়ে ৮৪ ও ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন নইশান কিশান ও সূর্যকুমার যাদব। মুম্বইয়ের পাহাড় প্রমাণ স্কোরে কিছুটা চাপ বাড়লব কলকাতা নাইট রাইডার্সেরও। প্লে অফে যেতে গেলে মুম্বইকে জিততে হবে ১৭১ রানে। ফলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৬৫ রান করতে পারলেই প্লে অফের টিকিট পাকা হয়ে যাবে কেকেআরের।
এদিন ওপেন করতে নেমেই প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াট শুরু করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ওভার পিছু ১৫ রানের থেকেই বেশি গড়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা। বিশেষ করে মারকাটারি ব্যাটিং করেন ইশান কিশান। পাওয়াপ প্লে শেষের আগেই ৮০ রান পেরিয়ে যায় মুম্বই স্কোর। মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান করে ফেলেন ইশান। ৮০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ১৮ রান করে আউট হন মরোবিত শর্মা। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ১০ রান করেন তিনি। যদিও রানের গতি কমাননি ইশান কিশান। তবে ৩২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন বাঁ হাতি তরুণ তারকা।
এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। তিনিও বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন। তবে অপর দিক থেকে কোনও ব্য়াটসম্যান সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তবে তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি মুম্বইয়ের। সূর্যকুমার যাদব একাই টেনে নিয়ে যায় দলকে। অপরদিকে পোলার্ড ১৩ ছাড়া অন্য কেউ দুই সংখ্যার রানে পৌছতে পারেনি। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে থামে মুম্বইয়ের ইনিংস। সানরাইজার্সে হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। হায়দরাবাদের জয়ের টার্গেট ২৩৬ রান।