জল্পনা ছিল। সেইসঙ্গে ছিল চর্চা। হাঁকাহাঁকিটা ছিল ঠিক কতটা দর উঠবে। অবশেষে জানা গেল প্যাট কামিন্সের দর। আর দর জানার সঙ্গে সঙ্গে যে তথ্য সামনে এল তাতে চোখ কপালে। কারণ, আর একটু হলেই আইপিএল নিলামের ইতিহাসটাই নতুন করে লিখে দিচ্ছিলেন প্যাট কামিন্স। কারণ, তিনি ১৫.৫০ কোটি টাকা-র দর নিয়ে আইপিএল ২০২০-র সবথেকে দামি ক্রিকেটার হয়ে গিয়েছেন।
আইপিএল নিলামে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। তিনি ষোল কোটি টাকারও বেশি দরে বিক্রি হয়েছিলেন। এছাড়াও সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম আছে বিরাট কোহলি থেকে শুরি করে রোহিত শর্মা, বেন স্টোকস, এম এস ধোনিদের-ও। কিন্তু, এঁদের সকলকেই এদিন ছাপিয়ে গিয়েছেন প্যাট কামিন্স। এর আগে কোনও বোলার আইপিএল-এ এতটা দর পাননি।
আগেও আইপিএল খেলেছেন এই প্যাট কামিন্স। কিন্তু, সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। তবে, দুটো কারণে এবার প্যাট কামিন্সের উপরে আইপিএ দলগুলির নজর ছিল। একটি হল অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক নাম তুলে নিয়েছেন আইপিএল থেকে। ফলে ভালো সুইংওয়ালা ফাস্ট বোলারের অভাব অনুভব করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। গত এক বছর ধরে প্যাট কামিন্স আন্তর্জাতিক স্তরে দুরন্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়ে এসেছেন। ফলে আইপিএল দলগুলি স্টার্কের অনুপস্থিতিতে কামিন্স-কে তুরুপের তাস বানাতে চাইছে। বিরাট কোহলি-র দল আরসিবি- প্রবলভাবে নজর ছিল কামিন্সের উপরে। আরসিবি-র হাতে অনেকটাই অর্থ ছিল। ফলে তারা কামিন্সের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদিনেন নিলামে। বিশেষ করে শুরু থেকেই প্যাট কামিন্সেরল জন্য দ্রুত দর বাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল আরসিবি।
তবে, ওস্তাদের মার যে শেষ রাতে তা আর কে জানত। কেউ বুঝতেই পারেনি যে আসল দানটা মেরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার তোরজোর করেছে শাহরুখ খানের কেকেআর। কামিন্সের জন্য আরসিবি-র সঙ্গে দর নিয়ে আকচা-আকচি করছিল বরং দিল্লি। কামিন্সের দর ১৪ কোটি ছাড়াতেই কেকেআর-এর টেবিলে নড়াচড়া শুরু হয়ে যায়। এরপর কেকেআর যে দর হাঁকে তাতে কামিন্স আরসিবি-রও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। শেষ বলে প্রায় ম্যাচ জেতানো ছক্কা মেরে কেকেআর তাদের বোলিং অ্যাটাকের তোপে জুড়ে দেয় কামিন্সকে।