আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (KKR vs MI)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৬১ রান করল মুম্বই । রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় কেকেআর।
এক সময় মনে হচ্ছিল শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গড়াতে পারে কলকাতা নাইট বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্য়াচ। ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল কেকেআর। কিন্তু ব্য়াট হাতে এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলবেন প্য়াট কামিন্স তা হয়তো কল্পনা করেননি কেউ। এলেন ১৪ বলে অর্ধশতরান করলেন। যা আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে কম বলে অর্ধশতরানের রেকর্ডের সমান। এর আগে কেএল রাহুল করেছিলেন ১৪ বলেই হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া আইপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে সবথেকে বেশি রান মারার রেকর্ডও করলেন কামিন্স। এর আগে জাদেজা নিয়েছিলেন ৩৭ রান, এবার ড্যানিয়েল সামসের ১৬ তম ভারে ৩৭ রান মেরে খেলাই শেষ করে দেন প্য়াট কামিন্স। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৬১ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। এছাড়া ৩৮ রান করেন তিলক ভার্মা। ৫ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন পোলার্ড। রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বলে ৫৬ রানের ম্য়াচ উইনিং ইনিংস খেলেন প্য়াট কামিন্স। ৫০ রান করেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। ৪ ওভার বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রেয়স আইয়রের দল। আইপিএল ২০২২-এ হারের হ্যাটট্রিক রোহিত শর্মার দলের।
এদিন ব্যাট হাতে শুরুটা মোটেই ভালে হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তৃতীয় ওভারে দলের ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ৩ রান করে উমেশ যাদবের বলে স্যাম বিলিংসের হাতে ক্যাচে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেক হওয়া ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। এসেই আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন তিনি। ১৯ বলে দ্রুত গতিতে ২৯ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে স্টাম্প আউট হন তিনি। ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ইশান কিশানও এদিন বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। দলের ৫৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ১৪ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে শ্রেয়স আইয়রের হাতে ক্যাচ আউট হন ইশান কিশান। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। দুজনে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। ৩৪ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন সূর্যকুমার যাদব। শেষে ওভারে প্য়াট কামিন্সের বলে আউট হন সূর্যুকমার যাদব। ৩৬ বলে ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ৮৩ রানের পার্টনারশিপ করেন তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। এরপর শেষে ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন পোলার্ড। ৫ বলে ২২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইযের আটোসাটো বোলিংয়ের সামনে খুব একটা হাত খোলার সুযোগ পায়নি কেকেআর ব্য়াটসম্যানরা। ১৬ রানে প্রথম উইকেট কেকেআরের। ৭ রান করে তাইমিল মিলসের বলে আউট হন তিনি। এদিনও ব্য়াট হাতে বড় রান পাননি কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। ১০ রান করে ড্য়ানিয়েল সামসের বলে আউট হন তিনি। এরপর কিছুটা ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করেন স্যাম বিলিংস ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। কিন্তু তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ৬৭ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে কলকাতার। ১৭ রান করে মুরগান অশ্বিনের বলে আইট হন বিলিংস। ব্য়াট হাতে রানের খরা অব্যাহত থাকে নীতিশ রানার। ৮ রান করে তিনিও মুরগাম অশ্বিনের শিকার হন। এদিন রাসেলও ১১ রান করে মিলসের শিকার হন। ১০১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু সেখান থেকে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মুহূর্তের মধ্যে ম্য়াচের রং পাল্টে দেন কামিন্স। ১৫ বলে ৬টি ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে অর্ধশকরান করার পাশাপাশি ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ৫০ রান করেন ভেঙ্কটেশ আইয়রও। ৪ ম্য়াচে ৩ জয় পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল কেকেআর।