
প্রথমে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স বোলরাদের, তারপ অনবদ্য ব্য়াটিং। টোটাল ক্রিকেট খেলে আইপিএল ২০২২-এ নিজেদের টানা চতুর্থ জয় তুলে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পঞ্জাব কিংসকে ৭ উইকেটে হারাল অরেঞ্জ আর্মি। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথমে ব্যাট করে অলআউট হয়ে ২০ ওভারে ১৫১ রান করে পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ২৬ রান করেন শাহরুখ খান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন উমরান মালিক। শেষ ওভারে মেডেন দিয়ে ৩ উইকেট নেন উমরান। এছাড়া ৩ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় হায়দরাবাদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন আইডেন মার্করাম। এছাড়া নিকোলাস পুরান ৩৫, রাহুল ত্রিপাঠী ৩৪ ও অভিষেক শর্মা ৩১ রান করেন। পঞ্জাবের হয়ে ২ উইকেট নেন রাহুল চাহার। প্রথম ২ ম্য়াচ হারের পর পরপর চারটি ম্য়াচ জিতে উচ্ছ্বসিত সানরাইজার্স শিবির।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি পঞ্জাব কিংসের। দলের ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ৮ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। ১৪ রান করে টি নটরাজনের বলে আউট হন প্রভসিমরন সিং। এরপর দলের ৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১২ রানে জগদীশা সুচিতের বলে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। পঞ্জাবের ৬১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১১ রান করে উমরান মালিকের বলে আউট হন জিতেশ শর্মা। এরপর পঞ্জাব দলের ইনিংসের রাশ ধরনে লিয়াম লিভিংস্টোন ও শাহরুখ খান। একদিক থেকে নিজের মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান লিভিংস্টোন। একের পর এক বিগ হিট করতে থাকেন তিনি। অপরদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিভিংস্টোন। ৭১ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপ করার পর আউট হন শারহুখ খান। ২৬ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন তিনি। ১৫১ রানের মাথায় আউট হন লিভিংস্টোন। ৬০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের তৃতীয় শিকার হন তিনি। শেষ ওভারে মেডেন ওভার দিয়ে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক। একটি রান আউটও হয় ওভারে। ওডিয়ান স্মিথ ১৩ ও রাহুল চাহারকে শূন্য ও বৈভব অরোরাকে শূন্য রানে আউট করেন উমরান মালিক। শেষ বলে রাম আউট হন অর্শদীপ সিং। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় পঞ্জাব কিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ১৪ রানেই পড়ে প্রথম উইকেট। ৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন কেন উইলিয়াম সন। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন অভিষেক শর্মা ও দুরন্ত ফর্মে থাকা রাহুল ত্রিপাঠী। শুরু থেকেই নিজের আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং চালিয়ে যান ত্রিপাঠী। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট উপহার দেন তিনি। অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠী মিলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন। দলের ৬২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। ৩৪ রাবের ইনিংস খেলে রাহুল চাহারের বলে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। এরপর বেশি সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি অভিষেক শর্মাও। দলের ৭৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩১ রানে রাহুল চাহারের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এরপর সানরাইজার্সের ইনিংসের রাশ ধরেন আইডেন মার্করাম ও নিকোলাসপৃ পুরান। খুব টার্গেট না হওয়ায় ঠান্ডা মাথায় দুজনে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। বাজে বলে করেন প্রহার। দুজন মিলে অনবদ্য ব্য়াটিং করে ৭৫ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ করে দলকে জয় এনে দেন। ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় হায়দরাবাদ। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আইডেন মার্করাম ও ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে চার নম্বরে উঠে এল নিজামের শহরের দল।