• ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বজয় অস্ট্রেলিয়ার
• প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ভারতের সিনিয়র খেলোয়াড়রা
• আঙ্গুল উঠছে হরমনপ্রীত, স্মৃতিদের দিকে
• দল হিসাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থ ভারত
মেলবোর্নে লজ্জার হার ভারতের। রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। কানায় কানায় ভর্তি মেলবোর্নের মাঠে দেশকে একরাশ লজ্জা উপহার দিলো ভারতীয় মহিলা দল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করে দুই অস্ট্রেলিয় ওপেনার। একসময় মনে হচ্ছিল হাসতে খেলতে দুশো রানের বেশি স্কোরে পৌঁছবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরের দিকে ভারতীয় বোলাররা সামান্য প্রত্যাবর্তন করে। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ১৮৪ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথম ওভারেই হারায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেফালি ভার্মা। গ্রূপ পর্বে ভারতের হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন শেফালি। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চের চাপ সামলে উঠতে পারেনি। ওখান থেকেই যেন পরিস্কার হয়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চিত্রটি কি হতে চলেছে। বল ঘাড়ে লাগায় আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন উইকেটকিপার তানিয়া ভাটিয়া। টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং করা জেমিমা রদ্রিগেজও বড় কিছু করতে ব্যর্থ হন। প্রতিযোগিতার এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যাদের ওপর সবথেকে বেশি আশা ছিল, গোটা টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালেও হতাশ করলেন তারা। ক্ষমার অযোগ্য শট খেলে উইকেট ছুড়ে আসেন ভারতের তিন সিনিয়র ব্যাটসম্যান স্মৃতি, হরমনপ্রীত এবং ভেদা কৃষ্ণমূর্তি। দীপ্তি শর্মা এবং তানিয়া ভাটিয়ার পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে নামা বাংলার রিচা ঘোষ একটু লড়াই করার চেষ্টা করেন কিন্তু তা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না। প্রথমবার মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমে ভারতকে হারতে হয় ৮৫ রানে।
এই ঘটনার জন্য অনেকে সরাসরি দায়ী করছেন স্মৃতি, হরমনপ্রীতদের মতো সিনিয়ার ক্রিকেটারদের। অনেকের মতে সিনিয়র হিসাবে যতটা দায়িত্ব তাদের নেওয়ার কথা ছিল তার ছিটেফোঁটাও নিতে পারেননি তারা। প্রতি ম্যাচে ভারতীয় বোলিংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন তারা। তাদের জঘন্য ব্যাটিংকে পুষিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোলারারা এবং শেফালি, জেমিমার চওড়া ব্যাট। গোটা টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচেও দল হিসাবে ভালো খেলতে পারেনি ভারত। তাই আজ মেলবোর্ন থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাদের।