টেস্ট সিরিজ (Test Series) জয়ের পর একদিনের সিরিজও (ODI Series)জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। পরপর ২ ম্য়াচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরল টেম্বা বাভুমার দল (Temba Bavuma)। দ্বিতীয় ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ রান করে কেএল রাহুলের (KL Rahul)দল। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্ট সিরিজে (Test Series)প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket Team) দল। পরের দুটি টেস্ট লড়াই করে হারতে হয়েছিল, একইসঙ্গে খোয়াতে হয়েছিল সিরিজ। কিন্তু একদিনের সিরিজে (ODI Series)সেভাবে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে পারল না কেএল রাহুলের (KL Rahul)দল। প্রথম একদিনের ম্য়াচে জয়ের পর দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ আরও একতরফা জিতল টেম্বা বাভুমার (Temba Bavuma)দল। দ্বিতীয় ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ রান করে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্থ। ৫৫ রান করেছিলেন কেএল রাহুল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্য়াটিং লাইনের প্রথম ৫ ক্রিকেটার। ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় প্রোটিয়া ব্রিগেড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন জানেমান মালান। এছাড়াও ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডিকক। এই জয়ের ফলে ৩ ম্য়াচের সিরিজ ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধওয়ান ও কেএল রাহুল। প্রথম থেকেই বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তারা। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন ধওয়ান-রাহুল জুটি। ৬৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ২৯ রান করে আউট হন ধওয়ান। এদিন ব্য়াট হাতে খাতাই খুলতে পারেননি বিরাট কোহলি। ৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে চাপে পড়ে যায় ভারতের। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আসেন ঋষভ পন্থ। কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেধে ইনিংসের রাশ ধরেন দুজনে। দুজনে মিলে শতরানের পার্টনারশিপ করার পাশাপাশি নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। ১৭৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৫ রানে আউট হন কেএল রাহুল। পার্টনারশিপ ভাঙতেই প্যাভেলিয়নে পেরেন পন্থও। দলের ১৮৩ রানের ব্যক্তিগত ৮৫ রানে আউট হন তিনি। শ্রেয়স আইয়র দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। শেষের দিকে শার্দুল ঠাকুরের ৪০, ভেঙ্কটেশ আইয়রের ২২ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ২৫ রানের সৌজন্যে ২৮৭ রাবের স্কোরে পৌছয় ভারতীয় ক্রিকেট দল।
রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য শুরু করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডিকক। মালান একটু সামলে খেললেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেন ডিকক। বুমরা, সামি, অশ্বিন, চাহল, শার্দুলরা চেষ্টা করেও ভাঙতে পারেনি ওপেনিং জুটি । চোখ ধাধানো একাধিক শট খেলেন মালান ও ডিকক জুটি। প্রথম উইকেটে ১৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন মালান-ডিকক। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। ৭৮ রান করে ডিকক আউট হলেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান মালান। টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর ব্যক্তিগত ৯১ রানে আউট হন জানেমান মালান। বাভুমা সাজঘরে ফেরেন ৩৫ রান করে। শেষে আইডেন মার্করাম ও ভ্যান ডার ডুসেন ৭৪ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন দুই ব্যাটসম্যানই। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একদিনের সিরিজে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। এবার একদিনের সিরিজও হাতছাড়া করল ভারত।