
এশিয়া কাপের সুপার ফোরোর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল শ্রীলঙ্কা। একইসঙ্গে লিগ পর্বে আফগানদের বিরুদ্ধে হারের বদলা নিল লঙ্কান লায়ন্সরা। লিগ রাউন্ডে দুটি ম্যাচ জিতেই সুপার ফোরে পৌছেছিল মহম্মদ নবির দল। আর সেখানে দাসুন শানাকার দলের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে হারের মুখ দেখতে হল আফগানিস্তানকে। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এছাড়া ৪০ রান করেন ইব্রাহিম জার্ডান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন দিলশান মাদুশানকা। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় শ্রীলঙ্কা। দলগত ব্যাটিংয়েই জয় আস। কুশল মেন্ডিস ৩৬, পাথুম নিশাঙ্কা ৩৫, দানুষ্কা গুণাথিলাকা ৩৩ ও ভানুকা রাজাপক্ষ ৩১ রান করেন।
এদিন টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তানের দুই ওপেনার হাজারতুল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ঝড়ের গতিতে একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলে ওপেনিংয় জুটিকে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। এরপর দলের ইনিংসেপ রাশ ধরে ইব্রাহিম জার্ডান ও হাজারতুল্লাহ জাজাই। অনবদ্য ব্যাটিং করে দুই আফগান তারকা নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপপ পূরণ করেন। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন দুজনে। ৯৩ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। দলের ১৩৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮৪ রান করে আউট হন গুরবাজ। এরপর ইব্রাহিজ জার্ডান ৪০ ও নাজিবুল্লাহ জার্ডানের ১৭ রানের ইনিংস ছাড়া শেষের দিকে অন্য কোনও আফগান ব্য়াটসম্য়ান রান পাননি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে আফগানিস্তান। দিলশান মাদুশানকার ২টি উইকেট ছাড়া শ্রীলঙ্কার একটি করে উইকেট নেন মাহেশ থিকসানা ও আশিতা ফার্নান্ডো।
১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে দ্রুত গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ৬২ ও ৮০ রানে পর সাজঘরে ফেরত যান শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। পাথুম নিশাঙ্কা করেন ৩৫ রান ও কুশল মেন্ডিস করেন ৩৬ রান। এরপর খুব বড় না হলেও ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়েম লঙ্কান ব্যাটসম্য়ানরা। যার ফলে লক্ষ্যে পৌছতে কোনও সমস্যা হয়নি। দানুষ্কা গুণাথিলাকা ৩৩ ও ভানুকা রাজাপক্ষ ৩১ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। শেষের দিতে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা ১৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান ও নাভিন উল হক। একটি করে উইকেট নেন রাশিদ খান ও মহম্মদ নবি। তবে শ্রীলঙ্কার জয়ের ক্ষেত্রে তা বাধা হয়নি।