এশিয়া কাপের ফাইনালে (Asia Cup 2022 Final) দুরন্ত শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ষষ্ঠবার ট্রফি জিতল লঙ্কান লায়ন্সরা (Pakistan vs Sri Lanka)। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৪৭ রানে অলআউট পাকিস্তান।
এশিয়া কাপ ২০২২ শুরুর সময় অনেক তাবড় তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞও শ্রীলঙ্কাতে ফেভারিট তকমা দিতে পারেননি। প্রতিযোগিতার শুরুরুটা হার দিয়ে করেছিল দ্বীপ রাষ্ট্রটি। কিন্তু কথায় বলে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। সকলকে ভুল প্রমাণিত করে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাল দাসুন শানাকার। ব্য়াটে বলে দুরন্ত পারফর্ম করে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ষষ্ঠবার এশিয়া সেরা হল শ্রীলঙ্কা। আর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও তৃতীয়বার এশিয়া কাপ জয় অধরাই থেকে গেল বাবর আজমের দলের। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিস খেলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান সবথেকে বেশি ৫৫ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন প্রমোদ মদুসান। দেশবাসীকে এশিয়া সেরার ট্রফি উপহার দিতে পেরে খুশি দাসুন শানাকার দল।
ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত ব্যদানে উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে গিয়েছিল দাসুন শানাকার দল। ৫৮ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। অর্ধে দল সাজঘরে ফেরত যাওয়ার পর সেখান অনবদ্য ইনিংস খেলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন তিনি। ভানুকা রাজাপক্ষকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা। দুজন মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। ১১৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন হাসরঙ্গা। এরপর ভানুকা রাজাপক্ষ নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তাকে সঙ্গ দেন চামিকা করুণাকরত্নে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের লড়াই করার মত স্কোর করে শ্রীলঙ্কা। ৪৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ভাানুকা রাজাপক্ষ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ২২ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরত যান বাবর আজম ও ফকর জামান। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিকর আহমেদ। তারা দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। বেশ কিছু অনবদ্য শটও খেলেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন বাবার ও ইফতিকর। ৯৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৩২ রান করে আউট হন ইফতিকর আহমেদ। এরপর একদিক থেকে মহম্মদ রিজওয়ান দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরদিক থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্য়াটিং লাইন। নিজের অর্ধশতরানর করে আউট হন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। শ্রালঙ্কার হয়ে প্রমোদ মাদুসানের ৪টি উইকেট ছাড়াও ৩টি উইকেট নেন হাসরঙ্গা, ২টি উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে ও একটি উইকেট নেন মাহেস থিকসানা।