টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার ১২-এর প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। গতবার ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন কেন উইলিয়ামসনরা।
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার ১২ গ্রুপ ১-এর প্রথম ম্যাচটি ছিল গতবারের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া দুই দলের। সেই লড়াইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিল রানার্স হওয়া নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনরা জিতলেন ৮৯ রানে। ১১ বছর পর ক্রিকেটের যে কোনও ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ম্যাচ জিতল নিউজিল্যান্ড দল। এর আগে ২০১১ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ায় কোনও ম্যাচ জিতেছিল কিউয়িরা। ফলে আজ একদিকে যেমন ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলা নিতে পারলেন ডেভন কনওয়ে, জেমস নিশমরা, তেমনই তাঁরা দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় না পাওয়ার আফশোসও দূর করে দিলেন। এদিন শুরু থেকে শেষপর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেলে জয় তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বোধহয় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেটের চরিত্র ভাল বুঝতে পারেননি। নিজের দলের বোলারদের উপর হয়তো তাঁর অগাধ আস্থা ছিল। তিনি আশা করেছিলেন তাঁরা দলের বোলাররা নিউজিল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখতে পারবেন এবং ব্যাটাররা সহজেই সেই রান তাড়া করে জয় পেয়ে যাবেন। কিন্তু সেটা হল না। বোলিং ও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হল অজিদের। ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুটা ভাল হল না চ্যাম্পিয়নদের।
টি-২০ বিশ্বকাপের এই ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে অজি বোলারদের চাপে ফেলে কিউয়িদের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও কনওয়ে। অ্যালেন ১৬ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে জশ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে যান। অ্যালেনের ইনিংসে ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। অপর ওপেনার কনওয়ে অবশ্য ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি সাতটি বাউন্ডারি ও দু'টি ছক্কা মারেন। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ২৩ রান করেন। গ্লেন ফিলিপস করেন ১২ রান। ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নিশম। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান নিউজিল্যান্ড। অজিদের হয়ে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচই কঠিন হয়। ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার কাছে কঠিন ছিল। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০০ রান করে ফেলায় আরও চাপে পড়ে যান ফিঞ্চ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার করেন মাত্র ৫ রান। ওপেন করতে নেমে অধিনায়ক ফিঞ্চ করেন ১৩ রান। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। প্যাট কামিন্স করেন ২১ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার। জোড়া উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। একটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি।
আরও পড়ুন-