
ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia) - ক্রিকেটের ইতিহাসের সবথেকে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই দলই টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ (T20 World Cup 2021)-এর সুপার ১২ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে, শনিবার খেলতে নেমেছিল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। তাই আশা করা হয়েছিল, দেখা যাবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কার্যক্ষেত্রে, ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিল, সাদা বলের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অজিদের থেকে অনেক এগিয়ে তারা। প্রথমে ব্যাট করে ইংরেজ বোলারদের দাপটে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। জস বাটলারের অনবদ্য অর্ধশতরানের সৌজন্যে রানটা মরমগান বাহিনী তুলে দিল ৫০ বল বাকি থাকতেই। ৮ উইকেটে শুধু ম্যাচই জিতল না, গ্রুপ অব ডেথে নিজেদের নেট রানরেটও অনেক বাড়িয়ে নিল।
রান তাড়া করার সময়ে বলতে গেলে অজি বোলারদের কোনও সুযোগই দেয়নি ইংরেজ ব্যাটাররা। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন জস বাটলার। অন্যদিকে অ্যাঙ্করের ভূমিকা নিয়েছিলেন জেসন রয়। পাওয়ার প্লের ওভারগুলিতে দুজনে মিলে ওবার প্রতি ১১ রান করে নিলেন। ষষ্ঠ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে পরপর দুটি ছয় মারেন বাটলার, ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
তবে এরপরই আক্রমণে এসেছিলেন অজি লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তিনি এলবিডব্লু করেন জেসন রয়কে (২০ বলে ২২)। তিন নম্বরে নামা দাভিদ মালানও এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দশম ওভারে অ্যাশটন আগারের বলে ৮ বলে ৮ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে উল্টোদিকে বাটলারকে থামানো যায়নি। দ্বিতীয় উইকেট পড়ার আগেই তিনি দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ৯৭ রানে।
তার মধ্যে নবম ওভারে জাম্পার বলে ছয় মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বাটলার। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতরান আসে, যা চলতি টুর্নামেন্টের দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন ৫টি চার ও ৫টি ছয়। তার মধ্যে নবম ওভারে জাম্পার বলে ছয় মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বাটলার। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতরান আসে, যা চলতি টুর্নামেন্টের দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন ৫টি চার ও ৫টি ছয়। মালানের পরে নেমেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। তবে তাঁর বিশেষ কিছু করার ছিল না। তবে বাটলারের সঙ্গে যোগ দিয়ে তিনিও দুটো ছয় মেরে গা গরম করলেন। ১১ বলে ১৬ করে অপরাজিত থাকলেন।
তার আগে টসে জিতে অজিদের প্রথমে ব্যাট করতে ডেকেছিলেন ইয়ন মর্গান। ক্রিস ওকস আর ক্রিস জর্ডন পাওয়াপ প্লের ওবারের মধ্যেই অজিদের ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছিল। ওয়ার্নার (১) এদিন ফের রান পাননি। রান পাননি ফর্মে থাকা ম্যাক্সওয়েল (৬) এবং এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত র্প্রতি ম্যাচে রান করা স্টিভেন স্মিথও (১)। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কোনও রান না করার আগেই আউট হন মার্কাস স্টইনিসও। ফলে মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ বিপদে পড়েছিল অজিরা। সেখান থেকে আর রানের গতি ফেরাতে পারেনা তারা।
প্রথমে ম্যাথু ওয়েড (১৮ বলে ১৮) এবং পরে এদিনই অজি প্রথম একাদশে আসা অ্যাশটন আগার (২০ বলে ২০)-কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার দিকে মন দিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৪৯ বলে ৪৪)। আগার আউট হওয়ার পর নেমেই পরপর দুটি ছয় মেরেছিলেন প্যাট কামিন্সও (১২)। কিন্তু ১৯তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিঞ্চ এবং কামিন্সকে আউট করেন ক্রিস জর্ডন। শেষ দিকে মিচেল স্টার্ক ১টি চার ও ১টি ছয় মেরে দলের রান ১২০ পার করিয়ে দিয়েছিলেন।