সিরিজ জয় দিয়েই বছরটা শেষ করল টিম ইন্ডিয়া। কটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর দেওয়া ৩১৬ রানের টার্গেট সহজেই পূরণ করল বিরাট বাহিনী। রান তাড়া করতে নেমে বিরাট- সহ পর পর কয়েকটি উইকেট বেশ দ্রুত হারালেও ভারতকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় রবীন্দ্র জাদেজা এবং শার্দুল ঠাকুরের জুটি। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। অন্য দিকে ফের বড় রান পেলেন দুই ওপেনার কে এল রাহুল (৭৭) এবং রোহিত শর্মা (৬৩)।
ওপেনিং জুটিতে একশো রানের বেশি উঠে যাওয়ার পর রান তাড়া করার কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেদার যাদব, ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আয়াররা দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও যথারীতি দলকে ভরসা দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এ দিনও ৮১ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস বেরোয় তাঁর ব্যাট থেকে। চার উইকেট হাতে থাকতেই ৪৮.৪ তম ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
কোহলির উইকেট হারানোর পর বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল বিরাট বাহিনী। যদিও ৩১ বলে ৩৯ রান করে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন জাদেজা। ব্যাট হাতে চমকে দেন বোলার শার্দুলও। মাত্র ৬ বলে ১৭ রান করে জাদেজাকে যোগ্য সঙ্গত দেন শার্দুল। নতুন বছরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফের মাঠে নামবেন কোহলিরা। তাঁর আগে টি টোয়েন্টির মতোই একদিনের সিরিজেও প্রথম ম্যাচে হেরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়েই রাখল বিরাট বাহিনী।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বিরাটই। সিরিজ সেরা হন সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এ দিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সৌজন্যে কায়রন পোলার্ড (৭৪) এবং নিকোলাস পুরান (৮৯)।
এ দিন ভারতের হয়ে অভিষেক হয় তরুণ পেসার নভদীপ সাইনি। দশ ওভারে ৫৮ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া অবশ্য সেভাবে বাকি বোলাররা নজর কাড়তে ব্যর্থ হন।