সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় "দেবীপক্ষ"। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যা হল মহালয়া; এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে দুর্গাপূজা পালিত হয়। সেক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পূজা শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর শহরের মৃন্ময়ী মন্দির এবং অনেক পরিবারে এই রীতি প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুন- রজস্বলা মহিলাদের কী পুজোয় অংশগ্রহণ করা উচিত! এই বিষয়ে কী বলেছে সনাতন ধর্ম
দুর্গা পুজো সহ সমস্ত পুজোতেই পূর্ণঘটের পুজোর মাধ্যমে মা কে আহ্বান করা হয়। ঘট কে ঈশ্বরের নিরাকার অবস্থার প্রতীক হিসেবে গন্য করা হয়। সেই কারনেই ঘট স্থাপন প্রতি পুজোতে আবশ্যক নিয়ম হিসেবেই পালন করা হয়। পুজোর সময় ভগবানের সাকার এবং নিরাকার দুই রূপেরই পুজো করা হয়। তাই ঘট স্থাপন ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। ঘট স্থাপন করতে লাগে কোনও পবিত্র জলাশয়ের মাটি,ধান,মাটি,তামা বা পিতলের ঘট, জল, নবপত্রিকা, গোটা ফল, ফুলের মালা, সিঁদূর ও নতুন গামছা লাগে। ঘটের উপর নবপত্রিকার প্রতিটি পাতায় সিঁদূর এর টিপ দিতে হয়।
আরও পড়ুন- দেবীপক্ষে বা মাতৃপক্ষে বোধনের তাৎপর্য
সাধারণত ঋক, সাম ও যজু বেদ অনুসারে ঘট স্থাপন হয়। সাম বেদ অনুসারে বেশি ঘট স্থাপন হয় তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে শ্রেয়। এর পর যে ঠাকুরের পুজো হচ্ছে তার গায়ত্রী জপ করতে হয়। পুজোর সময় ঘট কোনও কারণে হাত থেকে পড়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন ঘট বসাতে হবে এবং পুজো শেষে ঘট বিসর্জন করতে হবে।