দেবীপক্ষে বা মাতৃপক্ষে বোধনের তাৎপর্য

  • মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়
  • নিয়মটির মূল তাৎপর্য হল মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা
  • মা দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই রীতির প্রধান কাজ
  • পুরানমতে সর্বপ্রথম এই কাজটি করেছিলেন রাজা রামচন্দ্র

deblina dey | Published : Sep 20, 2019 7:10 AM IST / Updated: Sep 23 2019, 02:22 PM IST

যদি আমরা খুঁটি পুজোর কথা বাদ দেই, তবে দুর্গাপুজোর প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয়। বোধন নিয়মটির মূল তাৎপর্য হল মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা। 

আরও পড়ুন- ভাদ্র পূর্ণিমা তিথিতে এই রাশিতেই সূচিত হয় পিতৃপক্ষ

  বোধনের একটি নির্দিষ্ট পৌরাণিক তাৎপর্য-ও রয়েছে। মনে করা হয় এই নিয়মের দিনেই মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত‍্যলোকে পদার্পণ করেন। সঙ্গে আসেন তার চার সন্তান লক্ষী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। মায়ের ভক্তগণ ঢাকের বাদ‍্যি মা দুর্গা ও তার ছেলে মেয়েদের অভিবাদন জানান। মা দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ হিসাবে গন্য হয়। বোধনের আগে কল্পারম্ভ এবং বোধনের পরে আমন্ত্রণ এবং অধিবাস নামে আরও কয়েকটি ছোটখাটো নিয়ম পালন করা হয়ে থাকে। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। 


    
      বোধন কে অনেকে অকাল-বোধনও বলে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে সকল দেব দেবী সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রিত অবস্থায় থাকেন। যেহেতু দুর্গাপুজো এই ছয় মাসের মধ্যের সময়ে হয়ে থাকে তাই বোধনের মাধ্যমে আগে দেবীর ঘুম ভাঙ্গানো হয়। পুরানমতে সর্বপ্রথম এই কাজটি করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই অনেক বিশেষজ্ঞ একে অকাল বোধন বলে থাকেন।

Share this article
click me!