আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে এক মহিলা এবং এক পুরুষ সেখানে মারা যান।
খোদ শহর কলকাতায় দশমীর রাতে দুর্ঘটনা। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চলে গেল তিন তিনটে তরতাজা প্রাণ। দক্ষিণ বন্দর এলাকার বাসিন্দা অদিতি গুপ্ত তাঁর পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। শিয়ালদহ উড়ালপুল দিয়ে তাঁরা হাঁটছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ শিয়ালদহের মুচিপাড়ায় একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে ছ’জনকে ধাক্কা মারে। তাতে মারা যান বছর আঠেরোর অদিতি গুপ্ত। আহত হন তাঁর পরিবার-পরিজনের পাঁচ জন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে এক মহিলা এবং এক পুরুষ সেখানে মারা যান। এর পর আহত তিন জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ওই বাসটির কন্ডাক্টর এবং হেল্পারকে আটক করেছে পুলিশ।
শিয়ালদহ উড়ালপুলে এই দুর্ঘটনার পর বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করে কন্ডাক্টর এবং হেল্পারকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাসচালক। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে। কয়েক জনকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও স্থানান্তরিত করা হয়েছে এসএসকেএমে। এই মুহূর্তে সেখানে চিকিৎসাধীন তিন জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এনআরএস থেকে রাজাবাজারের দিকে যাচ্ছিল ওই বাসটি। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সূত্রের খবর দশমীর রাতে ওই ছ’জনই একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। দক্ষিণ বন্দর এলাকার বাসিন্দা অদিতির সঙ্গে তাঁরা শিয়ালদহ উড়ালপুল দিয়ে হাঁটছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সে সময় ৪৬ নম্বর রুটের একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অদিতির।