পান্তা ভাত খেয়েই বিদায় নেন দেবী, কৃষ্ণনগরের নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়িতে দেবীর গায়ের রং নীল

কৃষ্ণনগরের নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়িতে বিজয়ায় দেখা যায় এমনই দৃশ্য। শুধু তাই নয় এখানে মা দূর্গার গায়ের রং হয় নীল। কৃষ্ণনগরের নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়িতে দূর্গার আগমণ ঘটে একেবারে অন্যভাবে। 

Ishanee Dhar | Published : Oct 5, 2022 4:50 PM IST


পান্তা ভাত খেয়েই বাপের বাড়ি থেকে কৈলাশের পথে রওনা হয় উমা। কৃষ্ণনগরের নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়িতে বিজয়ায় দেখা যায় এমনই দৃশ্য। শুধু তাই নয় এখানে মা দূর্গার গায়ের রং হয় নীল। কৃষ্ণনগরের নাজিরা পাড়া চ্যাটার্জি বাড়িতে দূর্গার আগমণ ঘটে একেবারে অন্যভাবে। চারদিন আঁশভোগ, শক্র বলি এমন নানা প্রথা দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী চ্যাটার্জি বাড়ির নীল দূর্গার পুজোয়। কী কাহিনী এই নীল দূর্গার পুজোর নেপথ্যে?

জানা যায় বাংলাদেশেই প্রথম এই পুজোর সূচনা হয়। বাংলাদেশের বামরাইল গ্রামে মা দুর্গার নীল গাত্র বর্ণের প্রচলন হয়। কিন্তু কেন এমন প্রথা? পরিবার সূত্রের খবর দেবী দুর্গার গায়ের রং নীল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে লম্ফ বাতিতে দেবী দুর্গার গায়ের রং করার সময় ভুল করে মৃৎশিল্পী নীল রং দিয়ে ফেলেন। সেই রাতেই দেবী দুর্গার স্বপ্ন দেশ দেন তার গায়ের রং যেন নীল অপরাজিতা বর্ণের হয়। আর সেই থেকেই দুর্গার গায়ের রং নীল অপরাজিতা রংয়ের হয়ে আসছে। এই পুজোর বিশেষত্ব হলো দেবী দুর্গার ডান দিকের পরিবর্তে বাম দিকে থাকে গণেশ লক্ষী এবং ডান দিকে কার্তিক সরস্বতী। দশমীর দিন পান্তা ভাত খেয়েই কৈলাসে ফিরে যাবেন দেবী, এটাও কৃষ্ণনগর নাজিরা পাড়ার চ্যাটার্জিবাড়ি নীল দুর্গার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

নবমীতে শক্র বলিরও প্রথা রয়েছে এখানে। চালের গুঁড়ো দিয়ে শত্রু বানিয়ে বাড়ির সদস্যেরাই এই বলি দিয়ে থাকেন। 

দুর্গাকে একটি লজ্জাবতীর পাতা অর্পন করে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান, জানুন কীভাবে সেটি দেবেন

'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান

সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা

Read more Articles on
Share this article
click me!