আজ মহাষষ্ঠী। আপনি কি সংসারের সমস্যায় জর্জরিত? দুশ্চিন্তায় পুজোর আনন্দ উল্লাস থেকে কি অনেক দূরে? তবে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টাটকা। দুর্গাপুজোয় এই নিয়ম মেনে চললে পেতে পারেন অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি।
দুর্গাপুজো (Durga Puja) মানেই আবেগ আর আত্মহারা আনন্দে মেতে ওঠা। কিন্তু এই আনন্দ কি আদৌ সকলের জন্য? সকলেই কি এই পুজোতে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পায়? আর্থিক অনটন থেকে পারিবারিক সমস্যা পুজোর মরশুমেও অনেকের জীবন ঘিরে থাকে নানান সমস্যায়। তবে দুর্গাপুজোয় মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু টোটকা (Tips)। সম্পূর্ণ না হলে ও অবশ্যই মিলবে সমস্যা থেকে মুক্তি।
দুর্গাপুজোয় মহাষষ্ঠীর (MahaSashthi) দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে মা দুর্গার চরণে কিছুটা হলুদ, হলুদ রঙের মিষ্টি এবং হলুদ রঙের ফুল অর্পণ করুন। পুজো শেষ হওয়ার পর মায়ের চরণে অর্পণ করা হলুদের ফোঁটা কপালে লাগান। বাড়ির সকল সদস্যই এই কাজ করবেন।
দুর্গাপুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে যে কোনও এক দিন বাড়িতে একটি তুলসী গাছ ও কলাগাছ লাগাতে হবে।
অষ্টমীর দিন কোনও ছোট মেয়েকে কিছু উপহার দিন এবং তাকে তার পছন্দের খাবার খাওয়ান।
দশমীর দিন একটা নতুন সিঁদুর কৌটো ঠাকুরের চরণে অর্পণ করুন এবং সেই সিঁদুর থেকে কিছুটা অংশ মায়ের কাছে রাখুন। বাকিটা বাড়িতে রেখে দিন। তার পর মা-দিদিরা যে সিঁদুর খেলা করেন সেগুলি এবং নিজের গায়ে লেগে থাকা সিঁদুর থেকে কিছুটা তূলে নিয়ে সিঁদুর কৌটোয় রেখে দিন এবং সারা বছর বাড়ির সকলের সেই সিঁদুর কপালে লাগান।
যেখানে মা দুর্গার (Maa Durga) পুজো হয় সেখানকার সামান্য মাটি নিয়ে এসে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে পুঁতে দিন। এর ফলে বাড়িতে থাকা অশুভ শক্তি বা বাস্তু দোষ কেটে যাবে।
দুর্গা পুজোর (Durga Puja) সময় মায়ের কাছে যে শাড়ি পুজো দেওয়া হয় তার মধ্যে থেকে একটা শাড়ি পুরোহিতের কাছ থেকে যথা সাধ্য মূল্য দিয়ে চেয়ে নিন এবং সেই শাড়ি নিজেদের ঘরে রেখে দিন।