- Home
- Astrology
- Horoscope
- ষষ্ঠী থেকে নবমী- দুর্গা তিথি অনুযায়ী বেছে নিন পোশাকের রং, জীবনে আসবে সমৃদ্ধি-শান্তি
ষষ্ঠী থেকে নবমী- দুর্গা তিথি অনুযায়ী বেছে নিন পোশাকের রং, জীবনে আসবে সমৃদ্ধি-শান্তি
জীবনের সমস্যা কাটাতে হোক কিংবা জীবনে ভালো সময়ের বিষয়ের জানতে, আমরা অনেক সময় জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্য নিয়ে থাকি। সেই জ্যোতিষ শাস্ত্র জানাচ্ছে দুর্গাপুজোর মত উৎসবে জীবনে শান্তি সমৃদ্ধি আনতে কিছু রীতি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে দুর্গাতিথি অনুযায়ী রং বেছে যদি পোশাক পরা হয়, তবে তা শুভ সময় বয়ে আনবে আপনার জীবনে। দেখে নিন ষষ্ঠী থেকে দশমী - কোনদিন কোন রংয়ের পোশাক পরা উচিত।
- FB
- TW
- Linkdin
দুর্গাপুজোর মত উৎসবে জীবনে শান্তি সমৃদ্ধি আনতে কিছু রীতি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে দুর্গাতিথি অনুযায়ী রং বেছে যদি পোশাক পরা হয়, তবে তা শুভ সময় বয়ে আনবে আপনার জীবনে।
শারদ উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। সকলের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাঁকে দুর্গা নামে অভিহিত করা হয়। বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে যে দেবীর জন্ম হয় দেবী দুর্গার। কিছু নিয়ম পালন করে মায়ের কৃপাদৃষ্টি লাভ করে সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী পার্বতীর নয়টি ভিন্ন রূপ ৷ এই নয় রূপ হল যথাক্রমে - শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ৷
নবরাত্রি আসলে অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়। নবরাত্রির নয়দিনে, নয় অবতারে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। দেবী দুর্গা ও রাক্ষস রাজা মহিষাসুরের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ, এবং সেই যুদ্ধে দেবীশক্তির কাছে মহিষাসুরের অহঙ্কারের পরাজয়ই এই উৎসবের মূল উপজীব্য।
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন তথা ষষ্ঠীর থেকে আরম্ভ করে দশমী পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এই পক্ষটিকে দেবীপক্ষ নামে পরিচিত।
নবরাত্রির পঞ্চম দিনে বা পঞ্চমীতে দেবী স্কন্দমাতার আরাধনা করা হয়। এই দেবী ধরায় প্রকাশিত হয়েছেন দেবসেনাপতি কার্তিকের জননী রূপে। চতুর্ভুজা এই দেবী দুই হাতে ধারণ করে আছেন দুটি পদ্ম এবং বাকি দুটি হাতে ঘণ্টা ও কমণ্ডলু। এই দিনে সাদা রঙের পোশাক পড়লে আপনার মঙ্গল হবে।
নবরাত্রির ষষ্ঠীতে পুজো করা হয় দেবী পার্বতীর অন্যতম ভয়ঙ্করী রূপ দেবী কাত্যায়নীকে। বৈদিক যুগের ঋষি কাত্যায়নের কন্যা লাভের ইচ্ছে হয়েছিল। তিনি দেবী পার্বতীকে কন্যা হিসেবে পাওয়ার জন্য তপস্যা করেছিলেন। তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দেবী পার্বতী কাত্যায়নের কন্যা রূপে জন্ম নিয়েছিলেন। তাই এই দেবীর নাম কাত্যায়নী। ষষ্ঠীতে শুভ রং লাল।
নবরাত্রির সপ্তমীতে পুজো করা হয় দেবী কালরাত্রির। পুরাণে বলে, দানবদের দমন করার জন্য ত্বকের বর্ণ পরিবর্তন করে কৃষ্ণবর্ণা হয়েছিলেন দেবী দুর্গা। অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবী কালরাত্রি। অতীব ভয়ঙ্করী এই দেবী। আলুলায়িত কেশে দেবী কালরাত্রি গর্দভের উপর বসে থাকেন। এই দেবী ত্রিনয়নী ও চতুর্ভুজা। চার হাতের দুই হাতে ধারণ করেন বজ্র ও খড়্গ। এই দিনে পরা উচিত নীল।
নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো করা হয় দেবী মহাগৌরীকে। পুরাণ থেকে জানা যায়, হিমালয়দুহিতা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা। কিন্তু শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রখর রৌদ্রে তপস্যা করায় তিনি কৃষ্ণবর্ণা হয়ে গিয়েছিলেন। দেবাদিদেব মহাদেব তখন পার্বতীকে গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে দেওয়ার ফলে গৌরবর্ণ ফিরে পেয়েছিলেন পার্বতী। তাই দেবী পার্বতীর এই রূপের নাম মহাগৌরী। এই দিনে গোলাপি রঙের পোশাক পরলে শুভ।
নবরাত্রির নবমীতে পুজো করা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রীর। চতুর্ভুজা দেবী পদ্মের উপর বসে থাকেন। তাঁর চার হাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। পুরাণ থেকে জানা যায়, স্বয়ং মহাদেব দেবী পার্বতীর এই সিদ্ধিদাত্রী রূপকে পুজো করেছিলেন। নবমীতে জগদম্ভার সিদ্ধিদাত্রী রূপের পুজো করা হয়। এই দিনে বেগুনি রঙের পোশাক পরা মঙ্গলজনক।