পুজোর লাস্ট টাইমে মেদ ঝরাতে শেষপাতে খান এই সুপারফুড,মিলবে জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো। সারা শহর আবার সেজে উঠেছে আলোয়। পুজো মানেই সাজগোজ, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা। তবে বেলি ফ্যাট নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। পুজোর লাস্ট মিনিটে কীভাবে ফ্য়াট ঝরাবেন জেনে নিন ঘরোয়া টিপস।

Riya Das | Published : Sep 28, 2022 12:32 PM IST

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো। সারা শহর আবার সেজে উঠেছে আলোয়। করোনাকালে মহাসঙ্কট কাটিয়ে যেন ফের ছন্দে ফিরেছে আট থেকে অষ্টাদশী। পুজোর আনন্দে খুশির রেশ বাঙালির মনে। আর পুজো মানেই সাজগোজ, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা। তবে বেলি ফ্যাট নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। পুজোর লাস্ট মিনিটে কীভাবে ফ্য়াট ঝরাবেন জেনে নিন ঘরোয়া টিপস।

টক দইয়ের গুনাগুণের কথা কমবেশি সকলেরই জানা। তবে টক দই নিয়ে অনেকেরই অনেক রকমের মতামত রয়েছে।  শারীরিক সমস্যার সমাধানেও দই অত্যন্ত  উপকারি। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ টক দই খেলে নানা শারীরিক সমস্যা থেকে চিরকালের মতো মুক্তি পেলে।  শরীরকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দই- য়ের জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে যত টক্সিন বেরোবে ততই শরীর সুস্থ থাকবে। তবে গরমে টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলেও মিলবে দারুণ উপকার। টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে অস্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যা পাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এমন ব্যাকটেরিয়াকে বিনাশ করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করে। বদহজমের সমস্যা থেকে পেট গরম, ওষুধ খেয়ে কমছে না। চটজলদি টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিসের মিশ্রন ওষুধের চেয়েও ভাল কাজ করবে। পেটে ঠান্ডা যেমন হবে তেমনই গলা,বুক জ্বালা থেকেও রেহাই মিলবে।

 

 

টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে দাঁত যেমন ভাল থাকে। যাদের পাইরিয়া রয়েছে সেই সমস্যাও মিটে যায়। খাওয়ার পর যারা দই খান, তাতেও কয়েকটা কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন। দই এবং কিসমিস দুটোতেই ক্যালসিয়াম রয়েছে। সুতরাং গাঁটের ব্যথায় যারা ভুগছেন তারা অনায়াসেই এটি খেতে পারেন। যারা ওজন কমাতে চাইছেন, দই তাদের জন্য ভীষণ উপকারী। কোলেস্টেরল লেভেল কমানো থেকে উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে দই। পেট ব্যথা, বুক জ্বালা, পেট ফাঁপা এমন সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগলেই বুঝবেন আপনি পেপটিক আলসারের আক্রান্ত। পেপটিক আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে দই। দইয়ের মধ্যে থাকা ব্যাকটিরিয়া ইমিউন সিস্টেমের জন্য ভীষণ উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ টক দই খেলে জটিল শারীরিক সমস্যা থেকে চিরকালের মতো মুক্তি পাবেন। দইকে অনেকরকম ভাবেই খাওয়া যায়। যেমন যারা প্লেইন দই খেতে পছন্দ করেন না তারা  রায়তা করে খেতে পারেন। এতে খেতে যেমন সুস্বাদু হবে। তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। দইয়ের সঙ্গে আরও বেশি পুষ্টির জন্য বাদাম ও ফল দিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ের স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। এতে পছন্দের ফলগুলি দিতে পারেন। যারা ওয়ার্কআউট করেন তাদের জন্য স্মুদি খুবই ভাল অপশন।
 

Read more Articles on
Share this article
click me!