সম্পর্ক থেকে শুরু করে প্রকৃতির বুনন ফুটে উঠে টালা বারোয়ারির মণ্ডপে, সনাতনী রূপে বিরাজ করবেন দেবী

বাস্তবের মাটি থেকে মহাকাশ- সর্বত্রই রয়েছে এক অদৃশ্য বুনন।  যা আমাদের জীবনের এক অবশ্যম্ভাবী সত্য। আর এই সত্যকেই পুজো মণ্ডবে ফুটিয়ে তুলছে টালা বারোয়ারি। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন সঞ্জীব সাহা। 
 

Saborni Mitra | Published : Sep 11, 2022 12:36 PM IST

কলকাতার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল টালা বারোয়ারির পুজো। দেখতে দেখতে শতবর্ষ পার করেছে। ১০২ বছরে পা দিয়েছে এই সার্বজনীন পুজো। চলতি বছর একটু অন্য পথেই হেঁটেছে টালা বারোয়ারি দুর্গোৎসব। এবার তাদের থিম 'বুনন'। সম্পর্কের টানাপোড়েন তাঁরা তুলে ধরবেন বোনার মাধ্যমে। প্রতিটি সম্পর্কে একটি বাঁধনের প্রয়োজন হয়। আজকালকার ব্যস্ত জীবনে সেই কথাই দর্শকদের মনে করিয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা।  পুজো কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে রীতিমত আপলোড হচ্ছে প্রস্তুতির ছবি। বাঁশ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হলেও দর্শনে এক অন্য মাত্রা পাবে। 

উদ্যোক্তাদের কথায় সকল অদৃশ্য বন্ধনের মধ্যেও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ছিদ্র থেকে যায়। তা নিয়েই আমাদের জীবন। ভালবাসার সংসার থেকে কর্নক্ষেত্র , বাস্তবের মাটি থেকে মহাকাশ- সর্বত্রই রয়েছে এক অদৃশ্য বুনন।  যা আমাদের জীবনের এক অবশ্যম্ভাবী সত্য। আর এই সত্যকেই পুজো মণ্ডবে ফুটিয়ে তুলছে টালা বারোয়ারি। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন সঞ্জীব সাহা। 

বুনন - বাঁশ দিয়ে তৈরি মণ্ডপে বিরাজ করেন মাটির প্রতিমা। সনাতনী রূপেই দর্শন দেবেন দেবী দুর্গা। প্রতিমা তৈরি করছেন পিয়ালি সাধুখাঁ। উদ্যোক্তাদের কথায় মণ্ডপের সঙ্গে তালমিলিয়ে দেবী প্রতিমার সনাতনী রূপ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। চরম ব্যস্তার মধ্যেই কাজ করছেন সঞ্জীব ও পিয়ালী। তাঁদের সহযোগীরা তাদের সাহায্য করছে রাতদিন। পুজোর বাজেট ২০-২৫ লক্ষ টাকা। 

উদ্যোক্তাদের কথায় প্রাচীন পুজো। ১০২ বছরে পা রেখেছেন। গত ১০ বছর টালা বারোয়ারির পুজো দেখতে দর্শকের ঢল নামত। কিন্তু করোনার জন্য গত দুই বছর দর্শক শূন্য ছিল পুজো মণ্ডপ। পুজোর রঙও অনেকটা ফিকে ছিল। কিন্তু এবার রেকর্ড দর্শক হবে বলেও আশা করছেন তাঁরা। তাই ভিড় মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের কথায় এখনও করোনা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। এই অবস্থায় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন । তাই দর্শকদের মাস্ক পরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি ভিড় এড়াতে দুপুর বেলা বা মাঝরাতেও দর্শকরা আসতে পারেন বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছর পুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে টালা ব্রিজ। তাই দর্শকদের আর পুজো দেখতে আসতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশা করছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের কথায় পুজোর এবার রেকর্ড ভিড় হবে। দুই বছর অনেকটা নিশ্চিন্তে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন তাঁরা।

'মাতৃ রূপেন' , এই বার্তা দিতেই পতিতাপল্লির শিশুদের নিয়ে পুজো হয় রমেশ দত্ত স্ট্রিটে

বাতিল প্ল্যাস্টিকের বোতল আর রঙ- উত্তর কলকাতার এই পুজো মণ্ডপে যেন রামধনু ছটা

'নতুন তৃণমূল'এ কি ব্রাত্য পুরনোরা? উত্তরবঙ্গ থেকে সব জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Read more Articles on
Share this article
click me!