
শহর তিলোত্তামা থিম পুজোর চল শুরু হয়েছে বহু বছর ধরে। থিমের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরে পুজো প্যান্ডেলের কর্মীরা। কখনও সমাজ সচেতন মূলক বার্তা দেন তো কখনও ফুটিয়ে তোলেন বিশেষ কোনও ভাবনা। এই পথ অনুসরণ করেই এবার প্যান্ডেল তৈরি করছেন বেহালা নতুন দল দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা।
৪০ লক্ষ টাকা বাজেটের বেহালা নতুন দল দুর্গোৎসবের এবছরের থিম ‘আশ্রয়’। নিরাপদ আশ্রয় প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ যা সুরক্ষিত অভেদ্য দুর্গের ভিতর, কাল সে টুকরো টুকরো ইতিহাসের গোলা ও বারুদে পরিণত হতে পারে। সেই সব ধ্বংসস্তূপের বিপন্নতা পেরিয়ে দেখতে পাই মাথার ওপর কে যেন ধরে আছে ছাতা। এই সব টুকরো টুকরো গল্পের গাঁথুনিতে সারি সারি দাড়িয়ে আছে জীবনের অনুচ্চারিত কন্ঠস্বর। অপ্রতিরোধ্য জীবনের ধারাপাত। যার শুরু নেই, শেষ নেই। যা আবহমান... এমনই এক কাহিনি ফুটে উঠতে চলেছে বেহালা নতুন দল দুর্গোৎসবের এবছরের থিম ‘আশ্রয়’ থিমের মধ্য দিয়ে। এমনই জানান, ক্লাবের সেক্রেটারি দুধকুমার মন্ডল।
এই ভাবনা উপস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন অয়ন সাহা। তিনি থিম উপস্থাপনা ও মূর্তি তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। এবছর ৫৭ বছরে পা দিতে চলেছে বেহালা নতুন দল দুর্গোৎসব। ২০০৫ সাল থেকে থিম পুজো করছেন তারা। প্রতি বছরই নতুন নতুন ভাবনা চিন্তা তুলে ধরেন থিমের মধ্য দিয়ে। এবারও তার অন্যথা হল না। গত বছরও এমনই এক বিশেষ ভাবনা তুলে ধরে ছিলেন। গত বছরের পুজোর জন্য বেহালা নতুন দল দুর্গোৎসব প্রায় ২১টি পুরস্কার জয় করেন। আশা করা যায়, এবারও তাদের ভাবনা প্রশংসিত হবে সর্ব স্তরের মানুষের কাছে। আর মাত্রা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। সর্বত্র চলছে মা দূর্গার আগমনের প্রস্তুতি। দেবীর আগমনের জন্য দিন গুনছেন সকলে।
এবছর মহালয়ার পর পুজো উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ক্লাবের সেক্রেটারি দুধকুমার মন্ডল জানান, ইতিমধ্যে পুজো উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই উদ্বোধন করে ফেলবে। এদিকে জোড় কদমে চলছে ছবির কাজ। চলছে শেষাংশের কাজ। প্যান্ডেল নির্মান থেকে মূর্তি তৈরি সবেতেই আনতে চলেছেন নতুনত্ব। সে কারণে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন শিল্পীরা। ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন ‘আশ্রয়’-এর ভাবনা।