২০২২-এর দূর্গা পুজোতেও প্রত্যেক বছরের মতো যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনে হচ্ছে একেবারে সাবেকি আদলে পুজো। গত দু'বছর করোনার জন্য জাকজমক ছাড়া নম নম করেই হয়েছে পুজো। তবে এ বছর অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠে ফের চেনা ছন্দে ধুমধাম করেই হবে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী ক্লাব যোধপুর পার্ক কারচারালের পুজো।
শিউলি ফুলের গন্ধ, আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, কাশফুলে ভরা মাঠ জানান দিয়ে যাচ্ছে, আর দেরি নেই, ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। মা আসছেন আর মাত্র দিন কুড়ি পরে। শহরের অলিগলিতে উঁকি দিলেই দেখা যাবে মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি। তুঙ্গ ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে। আলোর রোশনাইতে সেজে উঠতে প্রস্তুত তিলোত্তমা। ছোট বড় সব ক্লাবেই সাজো সাজো রব। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা একে অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত শহরের নানা ক্লাব। কোথাও থিম পুজোর হিরিক আবার কোথাও সাবেকি আদলে চলছে মণ্ডপ সজ্জা। তেমনই ২০২২-এর দূর্গা পুজোতেও প্রত্যেক বছরের মতো যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনে হচ্ছে একেবারে সাবেকি আদলে পুজো।
গত দু'বছর করোনার জন্য জাকজমক ছাড়া নম নম করেই হয়েছে পুজো। তবে এ বছর অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠে ফের চেনা ছন্দে ধুমধাম করেই হবে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী ক্লাব যোধপুর পার্ক কারচারালের পুজো। দু'বছরের ফাক পড়লেও নড়চড় নেই তাঁদের দীর্ঘদিনের চলে আসা সাবেকি আদলের পুজোর। থিম পুজোর ভিরে আজও সম্পূর্ণ সাবেকি ঘরানা ধরে রেখেছে এই ক্লাব। প্রতি বছরের মতো এই বছরও একচালার ঠাকুরেই হবে পুজো। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু'বছর পুজোর জাকজমকে যেটুকু ভাটা পড়েছিল, এবছর তা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী যোধপুর পার্ক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন।
ক্লাবের সদস্য, অভিজিৎ বাবু জানিয়েছে, গত দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল পুজোর খাওয়া দাওয়া। এবারে সেই রীতি ফের পুনরুজীবিত করতে চলেছেন তাঁরা। এছাড়া প্রত্যেক বছর পাড়ার ছেলেমেয়েরা মিলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। করোনা পরিস্থিতিতে সেই অনুষ্ঠানও সারতে হয়েছিল নম নম করে। এবছর পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূল হওয়ায় ফের নিজের পুরোন গৌরব ফিরে পাবে সারদিয়ার অনুষ্ঠান। তাছাড়া এবছর ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে কলকাতার দূর্গা পুজো। সেই উপলক্ষেও ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করার কথা ভাবছে এই ক্লাব।
অভিজিৎ বাবু আরও জানান, প্রত্যেকবারের মতো এবারও পুজোর উদ্বোধন হবে পঞ্চমীর দিন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এলাকার কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলর। এছাড়া পুজো উদ্বোধনে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাড়ার মেয়েদের ধুনুচি নাচ সহযোগে মাকে বরণ করে নেওয়া হবে। তারপরে থাকবে ছোটদের অনুষ্ঠানও। চারদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান, খাওয়া দাওয়া। সব মিলিয়ে অতিমারির প্রকপ কাটিয়ে এবার জমে উঠবে যোধপুর পার্ক কালচারালের পুজো।
আরও পড়ুন - বেহালা ফ্রেন্ডস-এর এবছরের থিম ‘দুর্গাযাপন’, জেনে নিন এর অর্থ কী, কী রয়েছে পুজোর বিশেষত্ব