শরতের নীল আকাশ আর মাঠে ঘাটে কাশ ফুল জানান দিচ্ছে ঘরে মেয়ের আসার সময় হয়েছে। সেই আনন্দ মেতে উঠেছে শহর কলকাতা সহ গোটা বাংলা। কলকাতার অলিতে গলিতে চলছে পুজোর থিমের লড়াই, মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায় একবার মাতৃ দর্শণের জন্য। সকলের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাঁকে দুর্গা নামে অভিহিত করা হয়। দেবী দুর্গা আদ্যাশক্তি, মহামায়া, শিবানী, ভবানী, দশভুজা, সিংহবাহনা ইত্যাদি নামেও অভিহিত হন। ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত মহিষাসুর নামে এক দানব স্বর্গরাজ্য দখল করলে রাজ্যহারা দেবতারা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে যে দেবীর জন্ম হয় দেবী দুর্গার।
আরও পড়ুন- দেবী পক্ষের পঞ্চমী তিথি কোন রাশির অর্থ ভাগ্যে কেমন প্রভাব ফেলবে, দেখে নিন
দেবতাদের শক্তিতে শক্তিময়ী এবং বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিতা হয়ে এ দেবী যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করেন। তাই দেবীর এক নাম হয় মহিষমর্দিনী। কালী বিলাসতন্ত্র, কালিকাপুরাণ, দেবীভাগবত, মহাভাগবত, বৃহন্নন্দিকেশ্বরপুরাণ, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী, দুর্গোৎসববিবেক, দুর্গোৎসবতত্ত্ব প্রভৃতি গ্রন্থে দেবী দুর্গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আমাদের জীবনে দুর্গতির পিছনে রয়েছে আমাদের কিছু কু-অভ্যাস। আর এই অভ্যাসগুলোই জীবনে ডেকে নিয়ে আসে জীবনে দুর্ভাগ্য। তবে এই দেবীপক্ষে আপনি যদি কিছু নিয়ম পালন করেন তবে আপনার উপর মায়ের কৃপাদৃষ্টি লাভ করে সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন।