৭ বছরে সম্পত্তির বিকাশ ৩ গুণ! কত বড়লোক বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, জেনে নিন

গত সাত বছরে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-এর সম্পত্তি। গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দাখিল করা হলফনামায় অমিত জানিয়েছেন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর মিলিত সম্পত্তির মূল্য ৩৮.৮৪ কোটি টাকা। ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় এই সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১১.৭৯ কোটি টাকা মূল্যের।

 

amartya lahiri | Published : Apr 27, 2019 6:40 AM IST / Updated: Apr 27 2019, 12:13 PM IST

গত সাত বছরে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-এর সম্পত্তি। গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দাখিল করা হলফনামায় অমিত জানিয়েছেন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর মিলিত সম্পত্তির মূল্য ৩৮.৮৪ কোটি টাকা। ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের সময় অমিত ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১১.৭৯ কোটি টাকা মূল্যের।

অবশ্য এর মধ্যে ২৩.৪৫ কোটি টাকার সম্পত্তিই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বলে দাবি করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার সময় তাঁর পেশ করা হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৪.৩১ কোটি টাকার। অর্থাত গত দেড় বছরে ৪.৫৩ কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে বিজেপি সভাপতি ও তাঁর স্ত্রীর।

হলফনামা জমা দেওয়ার সময় অমিতের হাতে নগদ ছিল ২০,৬৩৩ টাকা আর তাঁর স্ত্রীর হাতে ৭২.৫৭৮ টাকা। দুজনে বিভিন্ন সেভিংস অ্যাকাউন্টে রেখেছেন ২৭.৮০ লক্ষ টাকা এবং ফিক্সড ডিপোজিটে রয়েছে ৯.৮০ লক্ষ টাকা। এছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১৪.৬৪ কোটি টাকার শেয়ার পত্র রয়েছে।

ভাড়নগরে কারবাটিয়া গ্রামে তাঁর স্ত্রী উত্তরাধিকার সূত্রে ৮০.২৪ লক্ষ টাকার কৃষিজমি পেয়েছিলেন। সেখানেও অমিত ও তাঁর স্ত্রীয়ের ৪০ শতাংশ করে অংশীদারি রয়েছে। দাসক্রোই-এর লীলাপুর গ্রামে বিজেপি সভাপতির আরও একটি ৪৫.৬২ লক্ষ টাকা কৃষিজমির মালিক।

সেই সঙ্গে শিলাজে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ৬.২৬ কোটি টাকা মূল্যের বাস্তুজমি রয়েচে অমিত শাহের। উত্তরাধিকারে আহমেদাবাদের আশ্রম রোডে ও মেমনগরের সূর্য কমপ্লেক্সে যথাক্রমে ১.৫ কোটি ও ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি কমার্শিয়াল স্পেসও রয়েছে। এছাড়া, মনসায় একটি ২,৫ লক্ষ টাকা মূল্যের আবাস-ও পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। থলতেজের সুদীপ সোশাইটিতে ১,৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাংলোর-ও যৌথ মালিক তিনি।

হলফনামায় তিনি আরও জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক-ই তাঁর শিক্ষাগত য়োগ্যতা। কমার্স নিয়ে পড়তে পড়তে দ্বিতীয় বর্ষে ছেড়ে দিয়েছিলেন। দুজনের কাছে তাঁর মোট ১৫.৭৭ লক্ষ টাকা ধার রয়েছে। তাঁর স্ত্রীয়ের ঋণের পরিমাণ ৩১ লক্ষ সাড়ে ৯২ হাজার টাকা। দুজনের কারোরই গাড়ি নেই।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নামে ৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার দুই রাজ্যেই ২টি করে।

 

Share this article
click me!