পশ্চিমবঙ্গ এখন 'ভারতীয় গণতন্ত্রের লঙ্কা'। আর মমতা বন্দোপাধ্য়ায় সেই লঙ্কাপুরীর রাবণ রাজ! এমনই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিহারের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বিজেপির সর্বভারতীয় সবাপতি অমিত শাহ-এর রোড শো-কে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এতটাই শঙ্কিত যে বৃহস্পতিবার বক্সার কেন্দ্রে তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচী ফেলে তিনি পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসছেন।
শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশন যে পশ্চিমবঙ্গে ৩২৪ ধারা লাগু করেছে। তার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশষনের প্রশংসা করেছেন। তবে এতেও তিনি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। এরপরেও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কতটা সুষ্ঠুভাবে হবে, সেই বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সন্দিহান। তাঁর দাবি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কমিশন ২৩ মে নির্বাচনেরপ ফল প্রকাশ পর্যন্ত মমতা বন্দোপাধ্য়ায় সরকারকে নিষ্ক্রিয় করে বিকল্প প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থা জারি করুক। নাহলে, ফলাফলের দিনজয়ী বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্রও ছিনতাই হয়ে যেতে পারে।
এদিন বিহারের বক্সার কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল গিরিরাজ সিং-এর। কিন্তু তিনি সেই কর্মসূচী বাতিল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মনের ভিতর থেকে তিনি সাড়া পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতারূপী রাবণকে বধ করতে সেখানকার মানুষ যেভাবে একত্রিত হচ্ছেন, তাতে তাঁরও সামিল হওয়া প্রয়োজন। বাংলার মানুষকে জাগাতে, বাংলার মানুষের পাশে থাকতেই তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাম মন্দির থেকে জাতপাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অতীতে বেশ কয়েকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শেষ দফা লোকসভা ভোটের আগে, এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহাওয়া বেশ গরম। 'হনুমান' রূপে গিরিরাজ সিং-এর আগুনে সেই আঁচ আরও বাড়ে কিনা সেদিকেই চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।