এক্সিট পোলের ইঙ্গিত যদি কংগ্রেসের কাছে প্রথম বড় ধাক্কা হয়, তাহলে দ্বিতীয় খারাপ খবরটা এল মধ্যপ্রদেশ থেকে। কারণ, এক্সিট পোলের ফল দেখেই উৎসাহী বিজেপি সেখানে কংগ্রেস সরকারের শক্তির পরীক্ষা নিতে চাইছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মধ্যপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কমলনাথ সরকারের সঙ্গে। কংগ্রেস সরকারের শক্তি পরীক্ষার জন্য যাতে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়, সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিও দিচ্ছে বিজেপি।
কয়েকমাস আগেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়ে বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে অবশ্য সরু সুতোর উপরে ঝুলছিল কমলনাথ সরকারের ভাগ্য। কারণ একক দল হিসেবে সেখানে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। মায়াবতী এবং অখিলেশের বিএসপি ও এসপি-র তিন বিধায়কের সমর্থনে সরকার চলছিল। কিন্তু রবিবার অধিকাংশ এক্সিট পোলই দাবি করে, মধ্যপ্রদেশ-সহ কংগ্রেসের জেতা তিনটি রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে রাহুল গাঁধীর দল। বিশেষত মধ্যপ্রদেশে ২৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি একাই চব্বিশ থেকে সাতাশটি আসন পেতে পারে বলে দাবি করেছে কমবেশি সব এক্সিট পোল।
মধ্যপ্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি এবং কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার একদম গায়ে গায়ে ছিল। বরং কংগ্রেসের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু আসন সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে পড়েছিল তাঁরা। কংগ্রেস যেখানে ৪০.৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সেখানে বিজেপি পেয়েছিল ৪১ শতাংশ ভোট। তাই তলায় তলায় কংগ্রেসে শিবিরে ফাটল ধরিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার কৌশল বিজেপি-র ছিলই। এক্সিট পোলে গেরুয়া ঝড়ের আভাস তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। তাই দেরি না করে রাজ্যপাল আনন্দিবেন পটেলকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপি-র গোপাল ভার্গভ। তাঁর অবশ্য দাবি, বিধায়ক কেনাবেচায় তাঁরা বিশ্বাসী নন। যা পরিস্থিতি, তাতে এমনিই কংগ্রেস সরকার পড়ে যাবে। কারণ রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের কাজে নাকি তাদের দলেরই অনেক বিধায়ক বীতশ্রদ্ধ। তাঁরা আর কমলনাথ সরকারকে সমর্থন দিতে নারাজ। আস্থা ভোট হলেই তার প্রমাণ মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি শিবির।
এ বিষয়ে এখনও কংগ্রেস শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপাতত ঘর বাঁচাতেই যেন ব্যস্ত তাঁরা! বিধানসভায় প্রাপ্ত ভোটও কেন হাতছাড়া হওয়ার পরিস্থিতি হলো, সেই ময়নাতদন্তেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে রাহুল গাঁধীর দলের নেতাদের।