প্রায় প্রতিটি সমীক্ষাই বলছে বিধি এবার বাম। মহাজোটের স্বপ্ন নাকি অধরাই থেকে যাবে। নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষাগুলির মতে, লোকসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর সে কথাই কি বকলমে মেনে নিচ্ছেন বিরোধীরা? মায়াবতীর শেষ সিদ্ধান্তে ইঙ্গিত তাইই। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।
বহু প্রতীক্ষিত মায়াবতী-সোনিয়ার দিল্লির বৈঠক অবশেষে ভেস্তে গেল। বহুজন সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, দিল্লি যাচ্ছেন না মায়াবতী। এদিন তাঁর অন্য কর্মসূচি রয়েছে লক্ষ্নৌতে। প্রসঙ্গত এই দিন পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি জানিয়েছিলেন দিল্লিতে বিএসপি নেত্রী এবং সোনিয়া গাঁধীর মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে। মায়াবতীর নিজের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও 'প্রো-কংগ্রেস' ছিল। আজ সেই সমস্ত সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিলেন বিএসপি নেতা সতীশচন্দ্র মিত্র।
তবে বিরোধীরা এও বলছেন এখনই আশা হারানোর কিছু নেই। সোনিয়ার সঙ্গে দেখা না করলেও এদিন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুখ অখিলেশের সঙ্গে দেখা করছেন মায়াবতী। কিন্তু তিনি কি মহা জোটের পক্ষে না বিপক্ষে, সে কথা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফল খারাপ হবে সেকথাও প্রায় সব ক'টি সমীক্ষায় মনে করিয়ে দিয়েছে। তাই মসনদে যেই বসুক মহাগঠবন্ধন যে এবার লোকসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সম্ভবত মহাজোটের সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি মায়াবতী।