রাহুল নয়, বুধবার দিল্লির এক সভায় রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী এদিন বলেন, রাজীব গান্ধী আইএনএস বিরাট যুদ্ধজাহাজে করে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতেন। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন প্রধান অ্য়াডমিরাল এল রামদাস।
তিনি জানিয়ে দেন, মোদীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য়। এল রামদাস এক সাফ জানান, ভারতীয় নৌসেনা কখনওই রাজীব গান্ধীকে ব্য়ক্তিগত স্বার্থে যুদ্ধজাহাজ ব্য়বহার করতে দেয়নি।
নরেন্দ্র মোদী রাজীব গান্ধীর যে ছবি দেখিয়ে এই দাবি করেছেন, তারও ব্যখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান অ্য়াডমিরাল। তিনি বলেঠেন, ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধীর জন্য় একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন তিনি। ছবিটি সেই সময়ের।
নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, টানা ১০ দিনের জন্য় লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী ও তাঁর পরিবার। এল রামদাস জানান, আইল্য়ান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে বৈঠকের জন্য় লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। ছুটি কাটাতে যাননি। সঙ্গে শুধু তাঁর স্ত্রী পুত্র ছিলেন আর সস্ত্রীক আইএএস অফিসাররা ছিলেন। তিনি যুদ্ধজাহাজকে মোটেও ব্য়ক্তিগত ট্য়াক্সির মতো ব্য়বহার করেননি।
প্রসঙ্গত, শুধু রাজীব গান্ধী নয়। তাঁর শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ সনিয়া গান্ধীর পরিবারকেও এদিন আক্রমণ করেছিলেম মোদী। তিনি বলেন, রাজীব গান্ধীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ইতালি থেকে এসেছিলেন বলে কি সব ছাড় পেয়ে যাবেন। শুধু এই যুদ্ধজাহাজই নয়। সেই সময়ে ভারতীয় সেনার একটি বিশেষ হেলিকপ্টার সারাদিন ওদের দেখভাল করেছিল।
নরেন্দ্র মোদী বুধবার এই মর্মেই দাবি করেছেন, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার জন্য় দেশের সম্পত্তি ব্য়ক্তিগত কারণে ব্য়বহার করা অপমান। এই নিয়ে গান্ধী পরিবারকে রীতিমতো তোপ দেগেছেন মোদী। তবে রাহুল গান্ধী এই অভিযোগের কী জবাব দেন, তা-ই এখন দেখার।