দিল্লি সরগরম। ভোটের উত্তাপ তো রয়েছেই। নতুন করে রাজধানী উত্তাল হচ্ছে অতসী মারলেনা কাণ্ডে। গত বৃহস্পতিবার উত্তর দিল্লির আম আদমী প্রার্থী অতিশী মারলেনা সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ জানান, তাঁর নামে কুৎসা রটিয়ে করা প্রচার করা হচ্ছে। অভিযোগের তীর ছিল গৌতম গম্ভীরের দিকে।
২৪ ঘণ্টা পার না হতেই সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন গম্ভীর। একই সঙ্গে তিনি মানহানির অভিযোগে নোটিশ ধরানো হল আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডেপুটি মণীশ সিসৌদিয়া ও অতিশী মারলেনাকে। এই নোটিশে বলা হয়, মিথ্যে অভিযোগের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কেজরীবালদের। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে।
গম্ভীর বলেন, "আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু প্রমাণ করতে না পারলে কেজরীবাল রাজনীতি ছাড়বেন তো?" একই সঙ্গে গম্ভীর প্রশ্ন তোলেন আম আদমি পার্টি সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করছে, কোর্টে যাচ্ছে না কেন?
ঠিক কী কী প্রচার করা হয়েছিল ওই প্রচার পত্রে
১ অতিশী মারলেনার বাবা জাঠ, মা পাঞ্জাবি। তার স্বামী অন্ধপ্রদেশের খ্রিস্টান। এই বিষয়টিকে টেনে এনে তাঁকে ছোট করা হয়।
২ বলা হয় অতিশী অন্ধ্রপ্রদেশের একটি গ্রামে প্রাইমারি স্কুলে পড়ানোর সময়ে যৌন কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন।
৩ একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে কী ভাবে অতিশী দিল্লির শিক্ষানীতি ঠিক করতে পারেন, এই যুক্তিতেও তাঁকে
হেয় করা হয়।
৪ অতিশীকে 'গুণ্ডা এলিমেন্টট' অর্থাৎ দুস্কৃতী বলা হয়।
৫ দিল্লির ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোডিয়াকে তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে কদর্য কথা বলা হয়য
৬ অতিশীকে যৌনকর্মী বলা হয়।
৭ প্রচারপত্রটি ছড়িয়ে দিতে অনুরোধ করা হয় প্রাপকদের কাছে।