জোড়া পদযাত্রা, জোড়া সভা, মরণকামড় দিতে তৈরি মমতা

  • কমিশনের নির্দেশিকা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রে রে পড়ে গিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
  • প্রচারের সময় শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে কমিয়ে বৃহস্পতিবার রাত্রি দশটা করা হয়েছে।

arka deb | Published : May 16, 2019 4:24 AM IST / Updated: May 16 2019, 04:17 PM IST

রাজ্যে নজিরবিহীন ভাবে জারি হয়েছে ৩২৪ ধারা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের উত্তপ্ত সময়েও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি রাজ্য। গত বুধবার কমিশনের সিদ্ধান্তে সরানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে। দিল্লিতে তলব করা হয়েছে সিআইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টার রাজীব কুমারকে। তাঁকে  সরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সব থেকে বড় বুমেরাং, প্রচারের দিনক্ষণ কমিয়ে আনা হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। নির্বাচন কমিশনের দাবি, রাজ্যে শেষ চব্বিশ ঘণ্টার নৈরাজ্যের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।

কমিশনের নির্দেশিকা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রে রে পড়ে গিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। প্রচারের সময় শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে কমিয়ে বৃহস্পতিবার রাত্রি দশটা করা হয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই, তেড়েফুড়ে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কাটছাঁট হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার পরিকল্পনায়। 

এদিন চারটি প্রচার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম জনসভাটি হবে মথুরাপুরে দুপুর একটায়। পরের জনসভাটি হবে ডায়মন্ডবারবারে দুপুর ২টোয়। দুপুর ৩টেয় জোকা বাসস্ট্যান্ড থেকে পদযাত্রা করবেন মমতা। পরের পদযাত্রাটি হবে সুকান্ত সেতুতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিলক্ষণ জানেন এই  শেষ সুযোগ। তাই একদিনে যতটা সম্ভব বেশি জায়গায় পা রাখতে চাইছেন তিনি। মথুরাপুরের বর্তমান সাংসদ চৌধুরীমোহন জটুয়া, দুবারের বিজয়ী সাংসদ। তার এলাকায় এখনও পা রাখেননি মমতা। সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে তার নির্বাচনী প্রচার।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ-র রোড শো ঘিরে তুলকালাম বাধে কলকাতায়। বিদ্যাসাগর কলেজের গেটে ভাঙচুর, মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য চরমে পৌঁছয়। তারপরেই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩২৪ জারি করার সিদ্ধান্তে আসে।
 

Share this article
click me!