বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন মায়াবতীর এমন কাণ্ড নতুন না। ১৯৯৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগে তিনি বিধায়কও ছিলেন না।
শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবু ২০১৯ লোকসভা ভোটে ক্রাউডপুলার তিনিই। সাত দফা লোকসভা ভোটের শুরুতেই একবার মায়াবতী সকলের নজরে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে মূর্তি বিতর্কের শুনানির জেরে। চার দফা যেতে না যেতেই ফের শিরোনামে তিনি। সৌজন্যে তার প্রচার। সেখানে তিনি সটান প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেন।
আম্বেদকর নগরে বিএসপির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে দুটি নতুন জল্পনার জন্ম
দিলেন মায়াবতী। এক তিনি আম্বেদকর নগর থেকে নির্বাচনে লড়তেও পারেন। অন্য দিকে তিনি সাধারণ সাংসদ নন, এৃকেবারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। এদিন মায়াবতীর সভা মঞ্চের পিছনের বিশাল কাটআউটে দেখা যায় মায়াবতীর ছবির তলায় লেখা প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছেছে এই কাট আউটটিকে ঘিরে।
ভোটে দাঁড়াবেন কিনা সে বিষয়েই এখনও জানাননি অথচ সরাসরি দেশের মানদন্ড হাতে নেওয়ার দাবি! বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন মায়াবতীর এমন কাণ্ড নতুন না। ১৯৯৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগে তিনি বিধায়কও ছিলেন না।
এদিন প্রচারসভা থেকে মায়াবতী বলেন, "দাঁড়ালে আমাকে এই আম্বেদকর নগর থেকেই দাঁড়াতে হবে।" রাজনৈতিকমহল মনে করছে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর এই বয়ান ভোটের মুখে বিএসপিকে অক্সিজেন যোগাবে। বিজেপি বিলক্ষণ জানে ৮০ টির মধ্যে ৭৩ টি আসন দখল করা ২০১৪ সালের উত্তরপ্রদেশে এখন অতীত। সিট কমতে পারে বলে আশঙ্কা দলের অন্দরেই। এই অবস্থায় মায়াবতীর ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে আসাকে দলের বিপদ হিসেবেই দেখছে গেরুয়াবাহিনী। এসপি বিএসপির রফা হার্টবিট বাড়াচ্ছে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির।