হিন্দিতে নারা কথার অর্থ স্লোগান। ২০১৪ সালে ভোটযুদ্ধে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী র সময় তাঁর নারা ছিল 'সবকা সাথ,সবকা বিকাশ'। আর এবার এনডিএ-এর নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী লাগালেন নতুন নারা - 'নারা'। তাঁর মতে রেলগাড়ি যেমন পাশাপাশি পাতা দুটি সমান্তরাল লাইন ধরে এগিয়ে চলে, তেমনই দেশকে এগোতে গেলে এই 'না' এবং 'রা' সমান্তরাল লাইন ধরেই চলতে হবে।
কী এই 'না' এবং 'রা'? না হল ইংরাজি এনএ, অর্থাত 'ন্যাশনাল অ্যাম্বিশন' বা 'জাতীয় উচ্চাকাঙ্খা' আর 'রা' হল 'রিজিওনাল অ্য়াসপিরেশন' বা 'আঞ্চলিক চাহিদা'। দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন 'ন্যাশনাল অ্যাম্বিশন'এর সঙ্গে আপোশ করলে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু তা করতে গিয়ে আঞ্চলিক চাহিদাকে উপেক্ষা করলে তা দেশের মধ্যেই অনেক বড় বিপদ তৈরি করতে পারে।
তাঁর মতে ভারতের বিকাশ বা অগ্রগতির জন্য জাতীয় উচ্চাকাঙ্খা ও আঞলিক চাহিদার একটা নিখুঁত ভারসাম্য বজায় প্রয়োজন। সমান্তরাল দৃষ্টিভঙ্গিতে দুটিকেই দেখতে হবে। এর আগের মেয়াদকালে, বহুবারই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র থেকে তিনি প্রকল্প করে দিলেও যেসব রাজ্যে বিজেপি বা এনডিএ দলগুলির সরকার নেই সেইসব রাজ্যে প্রকল্পগুলির যথায়থ রূপায়ন হচ্ছে না।
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ দারুণ সাফল্য পেলেও, ঐতিহাসিক জনমত পেলেও এখনও রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই। কয়েক মাস আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বড় রাজ্যের ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। কাজেই 'না' অর্থাত জাতীয় উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করাটা নরেন্দ্র মোদীর হাতের মুঠোয় থাকলেও 'রা' অর্থাত আঞ্চলিক চাহিদা মেটানোটা কিন্তু তাঁর সামনে বড় চ্য়ালেঞ্জ।