হাসছেন মালেগাঁও অভিযুক্ত সাধ্বী, ভাঁজ কংগ্রেসের কপালে

  • নয় বছর জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে কাটিয়েছেন তিনি।
  • মাথার উপর এখনও ঝুলছে শাস্তির খাঁড়া।
  • কিন্তু সমস্ত বিপদ মাথায় নিয়েও মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এগিয়ে যাচ্ছেন ভোপালে। 

arka deb | Published : May 23, 2019 4:37 AM IST / Updated: May 23 2019, 10:12 AM IST

নয় বছর জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে কাটিয়েছেন তিনি।  মাথার উপর এখনও ঝুলছে শাস্তির খাঁড়া।  কিন্তু সমস্ত বিপদ মাথায় নিয়েও মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এগিয়ে যাচ্ছেন ভোপালে। প্রথম রাউন্ড গণনা শেষে ভোপালে দিগ্বিজায় সিংহ-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। 

২০০৭ সালে সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ এবং মালেগাঁও কাণ্ডকে গেরুয়া নৈরাজ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল ইউপিএ। শুরু হয় ধরপাকড়। ২০০৮ সালে মালেগাঁও কাণ্ডে ধরা পড়েন প্রজ্ঞা ঠাকুর। সমঝোতা এক্সপ্রেস কাণ্ডে একই সময় ধরা পড়েন অভিনব ভারতের প্রধান মুখ অসীমানন্দ। অসীমানন্দকে গত মাসে ক্লিনচিট দিয়েছে আদালত।  ২০১৫ সালে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তরফে  ক্লিনচিট পেয়েছিলেন প্রজ্ঞা। কিন্তু আদালত মানতে চায়নি কেননা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল তাঁর বাইক। ফলে তিনি এখনও বিচারাধীন, জামিন পেয়েছেন ২০১৭তে। 

৪৮ বছর বয়েসি সাধ্বী প্রজ্ঞা বিজেপিতে যোগ দেন গত এপ্রিল মাসে। সক্রিয় রাজনীতিতে এসে প্রচারপর্বে নানা রং দেখিয়েছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে ঝড় তুলেছেন।  জেলে অত্যাচার হওয়ার কথা সামনে এনেছেন। বলেছেন তারই অভিশাপে নাকি মারা গিয়েছে হেমন্ত কারকারে। বলেছেন তার ক্যানসার সারাতে সহায়ক হয়েছিল গোমূত্র।  এমনকী নাথুরামকেও দেশপ্রেমিক বলে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলেই। 

এসব মিলিয়ে সংবাদ শিরোনামেই ছিলেন সাধ্বী। এবার কি শেষ হাসি ফুটবে তাঁর মুখেই। জানত  অপেক্ষা আর কয়েক প্রহরের।
 

Share this article
click me!