অনির্বাণ মানেই যেন পর্দাজুড়ে মঞ্চাভিনেতাদের দাপট। তিনি নিজেও মঞ্চাভিনেতা বলে? পরিচালক-অভিনেতার দাবি, মঞ্চের অভিনেতারা পর্দায় তাঁরা ভীষণ ভাল অভিনেতা বলে। এবং তাঁরা চরিত্রগুলোর সঙ্গে মানানসই।
আরও এক বার মঞ্চের অভিনেতারা বড় পর্দাজুড়ে। সৌজন্যে আরও এক বার পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কালীপুজোয় গা ছমছমে, মজাদার গল্প নিয়ে আসছেন তিনি। বাদল সরকারের নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ তাঁর প্রথম বড় পর্দার ছবি। অভিনয়ে দেবরাজ ভট্টাচার্য, সত্যম ভট্টাচার্য, সুরঙ্গনা ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী প্রমুখ। এই ছবিতে পরিচালক নতুন জুটির জন্ম দিলেন, সত্যম-সুরঙ্গনা।
অনির্বাণ মানেই যেমন বিতর্ক। অনির্বাণ মানে একরাশ কৌতূহলও। বিশেষ করে তাঁর পরিচালনা নিয়ে। এবং প্রথম পরিচালনা সিরিজ ‘মন্দার’ আলোড়ন ফেলতেই হতেই। এ বার তিনি পর্দায় নিয়ে আসছেন এক টুকরো মঞ্চ। কেন বাদল সরকারকেই বাছলেন? এই প্রশ্ন অনির্বাণ অনুরাগীদের। পরিচালকের মতে, প্রযোজক এসভিএফের পছন্দ বাদল সরকার। সংস্থা নাট্যকারের এই নাটকটি বেছে দেন ছবি বানানোর জন্য। অনির্বাণ তার পর চিত্রনাট্য লেখার জন্য কলম ধরেন। এবং এ ক্ষেত্রে তাঁর দাবি, বাদল সরকারের সৃষ্টি সমুদ্র-সমান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের এই ব্যক্তিত্বের সৃষ্টি থেকে এক আঁজলা জল তিনি তুলে নিয়েছেন মাত্র।
তখনই ফাঁস হয় আরও একটি রহস্য। তাঁর প্রিয় চরিত্র সঞ্জীব বসু। চিত্রনাট্য লিখতে লিখতে এই চরিত্রেরই প্রেমে পড়েন তিনি। বড় পর্দায় যাঁকে ফুটিয়েছেন দেবরাজ ভট্টাচার্য। অনির্বাণের কথায়, ‘‘পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয় করলে নিজের জন্য এই চরিত্রটিই বাছতাম। আমিই সঞ্জীব বসু হতাম।’’ তার পরেই তাঁর বক্তব্য, তবে দেবরাজ যে ভাবে চরিত্রে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি হয়তো এত নিখুঁত হতে পারতেন না। এও জানান, ‘সাজো সাজাও’ তাঁর বড় পছন্দের গান। চিত্রনাট্য লেখার আগে এই গানটি লেখা হয়ে গিয়েছিল। বাকি গানগুলোয় বেশ কয়েক বার ঘষামাজা করতে হয়েছে। কিন্তু এই গানটি একবারেই লেখা হয়েছিল।
অনির্বাণ মানেই যেন পর্দাজুড়ে মঞ্চাভিনেতাদের দাপট। তিনি নিজে মঞ্চাভিনেতা বলে? এই প্রশ্নও ছিল তাঁর উদ্দেশ্যে। পরিচালক-অভিনেতার দাবি, দু’টি কারণে মঞ্চের অভিনেতারা পর্দায়। এক, তাঁরা ভীষণ ভাল অভিনেতা। দুই, তাঁরা চরিত্রগুলোর সঙ্গে মানানসই। অকপটে এও স্বীকার করেছেন, ১৬ দিনে ছবির শ্যুট শেষ করা নব্য পরিচালকের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন ছিল। যে বাড়িতে শ্যুটিং করতে সেই বাড়ির রেন পাইপ দিয়ে বার দিনেক জল ঢুকে চূড়ান্ত নাকানিচোবানি খেয়েছেন টিম ‘বল্লভপুরের রূপকথা’।
অনির্বাণের প্রথম ছবির আরও এক সম্পদ তাঁর গান। ‘সাজো সাজাও’ গানটি দেবরাজ, সাহানা বাজপেয়ী এবং তিনি গেয়েছেন। পরিচালকের যুক্তি গানটির সুরকার দেবরাজ। তাই দেবরাজের গলায় কেমন শোনায় সেটা দেখতেই তাঁকে দিয়ে গাওয়ান তিনি। এবং তাঁর প্রিয় গান বলে নিজেও দু-তিন লাইন গেয়েছেন দেবরাজের সঙ্গে। পরিচালকের মতে, সাহানার গাওয়া গানটি ছবিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
আরও পড়ুন
একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার, সহবাসের যন্ত্রণা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় ঐশ্বর্যকে
'ব্রা-প্যান্টিও রাখা যাবে না শরীরে', নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব শুনেই বেজায় চটেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
নেটিজেনদের মতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন আবারও মা হতে চলেছেন, একথা কি সত্যি ? চোখ রাখুন খবরে