- Home
- Entertainment
- Bollywood
- একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার, সহবাসের যন্ত্রণা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় ঐশ্বর্যকে
একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার, সহবাসের যন্ত্রণা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় ঐশ্বর্যকে
- FB
- TW
- Linkdin
অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে থেকেছেন বচ্চন বধূ। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন কেরিয়ার শুরুতেই বি-টাউনের মোস্ট পপুলার লাভারবয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য।
বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বি-টাউনে একের পর এক অভিনেতার সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রীর। নিজের ব্যক্তিগত জীবন মিডিয়া এবং জনসাধারণের থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেও তাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সম্পর্ক, বিচ্ছেদ, বিবাহ, সব বিষয়েই পেজ থ্রি-র শিরোনামে বচ্চন বধূ। বি টাউনের চর্চিত কাপলদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য ও সলমন। তাদের প্রেম থেকে ব্রেক আপ সবটাই যেন চর্চিত বিষয়।
বলিউডে পা রাখার পর হাম দিল দে চুকে সানাম, তাল, দেবদাস, মহব্বতে, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরাই তাদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন ঐশ্বর্যকে।
কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। ছবির গল্পের মতোনই তাদেরও প্রেমটা সাজানো বাগানের মতো ছিল। সেই সিনেমার পর থেকে গোটা বি-টাউনে তাদের প্রেম নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছিল। ঐশ্বর্যর কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন।
সম্প্রতি একটি চ্যাট শো-এর পুরোনো সাক্ষাৎকারে মারাত্মক ভাবে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঐশ্বর্যর দেওয়া তকমা আজও সরগরম করছে পেজ থ্রি-র পাতা ।সিমি গারওয়ালের একটি চ্যাট শো-তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। তখন বয়স মাত্র ২১ বছর।
সেই চ্যাট শো চলাকালীন সিমি ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞাসা করেছিল বলিউডের সেক্সিয়েস্ট এবং গর্জিয়াস বলতে আপনি কাকে মনে করেন। ঐশ্বর্যর সটান জবাব ছিল সলমন খান। কারণ সলমন ছাড়া তিনি তখন কারোর কথাই ভাবতে পারেননি।
সলমন খান যখন ঐশ্বর্যর সঙ্গে রিলেশনে ছিলেন তখন নাকি তাকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। তবে ঐশ্বর্যর কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে ছিল। তাই বিয়ে করতে চাননি। টানা ২ বছর ডেটিংয়ের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
একবার একটি অনুষ্ঠানে সানগ্লাস পরে পুরস্কার নিতে ওঠেন ঐশ্বর্য। যা দেখে অনেকেরই খটকা লাগে। ঐশ্বর্য বলেছিলেন চোখে ইনফেকশন হয়েছে। কিন্তু বলি মহলের অন্দরে অন্য কোথা শোনা যাচ্ছিল। সলমন নাকি অকারণেই তার গায়ে হাত দিয়েছিলেন। প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে মেনে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।
একবার নয়, একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঐশ্বর্য। যদিও সলমন একথা আজও স্বীকার করেননি। ঐশ্বর্য নিজেও আর এই সম্পর্ক রাখতে চাননি। এমনকী তার পরিবারও সলমনকে মেনে নেয় নি। 'কুছ না কাহো' ছবির সেটে গিয়েও অসভ্য আচরণ করেছিলেন সলমন। ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেতাদের সঙ্গেই ঐশ্বর্যকে সন্দেহ করতেন সলমন। তারপর তাদের বিচ্ছদের খবরে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই বলি অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে তার নাম জড়ায় ঐশ্বর্য। যদিও সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি। সল্লু ভাই নাকি বিবেককেও হুমকি দিয়েছিল।