আরিয়ান খান মামলায় তাঁর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। আগেই তাঁকে মুম্বই ড্রাগস মামলা থেকে সরিয়ে মুম্বইয়ের অ্যানালিটিক্স ও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর করা হয়েছিল।
মুম্বই ড্রাগস অন ক্রুজ মামলায় সুপারস্টার শাহরুখ খানের ঘরে যখন স্বস্তি তখন ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে এই মামলার প্রথম তদন্তকারী অধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের। এবার সমীর ওয়াংখেড়েকে চেন্নাইতে বদলি করা হল। সেখানে তাঁকে ট্যাক্স প্লেয়ার সার্ভিসে ডিরেক্টর জেনারেলের পদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরিয়ান খান মামলায় তাঁর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। আগেই তাঁকে মুম্বই ড্রাগস মামলা থেকে সরিয়ে মুম্বইয়ের অ্যানালিটিক্স ও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর করা হয়েছিল।
যাইহোক আগেই ড্রগস মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। সম্প্রতি এই মামলার চার্জশিটও পেশ করে নার্কিটিকস দফতর। কিন্তু সেখানে নাম ছিল না আরিয়ান খানের। যাতে পুরোপুরি স্বস্তি পেয়েছে খান পরিবার। কিন্তু পাল্টা অস্বস্তি বেড়েছে মামলার প্রথম তদন্তকারী আধিকারিকের।
গতবছর সামনে মুম্বই ড্রাগস অন ক্রুজ মামলা রীতিমত চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল দেশে। মহামারির সময় বিলাসতরী থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাদক। তাতেই নাম জড়িয়ে পড়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল উন্মাদনা। আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিলেন তৎকালীন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির মুম্বইয় জোনালের চিফ সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ান খানের মামলার আগে তাঁর পরিচিত ছিল একজন মাদক বিরোধী হিসেবে। কিন্তু আরিয়ান খানের মামলা তাঁর মিথ ভেঙে দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়া বা মাদক মামলাকে সামনে রেখে তোলাতোলার অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
সেই সময়ই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আরিয়ান খানকে সামনে রেখে শাহরুখ খানের থেকে মোটা টাকা হাতানোর চেষ্টা করছেন তিনি। কারণ অভিযানের কোনও ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি। আরিয়ান খানের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়নি। সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সবথেকে সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তিনি সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।
গত বছর দোশরা অক্টোবর মুম্বিযের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় এনসিবি অভিযান চালিয়েছেন। তারই নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছিল। তাতেই নাম জড়িয়ে পড়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। গ্রেফতার করা হয়েছিল। একাধিক বার জেরার জন্য ডাকাও হয়েছিল। কিন্তু এনসিবির চার্জশিটে নাম নেই আরিয়ান খানের। তারপরই কেন্দ্রের তরফ থেকে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর শাস্তি হতে পারে সমীর ওয়াংখেড়ে।
মুম্বইয়ের এই মাদক মামলার প্রথম থেকে কিছুটা হলে ব্যাকফুটে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এনসিপি নেতা নবাব মালিক প্রথম থেকেই সমীর ওয়াংখেড়েকে নিশানা করেছিলেন এই মমলায়। জাল সার্টিফিটেক দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন। অন্যদিকে মুম্বইয়ে এজাতীয় মামলার সমীর ওয়াংখেড়ের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকেরই অভিযোগ ছিল এভাবে মাদক মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন সমীর ওয়াংখেড়ে ও তার দলের সদস্যরা। যদিও সেইসংক্রান্ত কোনও প্রমান এখনও পর্যন্ত দাখিল হয়নি। যাইহোক এবার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সমীর ওয়াখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে অনেক কথাই সামনে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।