খবর শুনে যাঁরা ঐন্দ্রিলাকে চেনেন তাঁরা আনন্দে-আবেগে বিহ্বল। যাঁরা সরাসরি চেনেন না, তাঁরাও খুশি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক জানিয়েছেন, ধুব ধীরে হলেও সুস্থতার পথে অভিনেত্রী।
সবার ভালবাসার জোর। সবার প্রার্থনার ফল! তাতেই তৃতীয় বারের জন্য মির্যাকল। ক্রমশ সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সপ্তাহের প্রথম দিনে খুশির খবর ছড়িয়ে পড়েছে টেলিপাড়ায়। যাঁরা ঐন্দ্রিলাকে চেনেন তাঁরা আনন্দে-আবেগে বিহ্বল। যাঁরা সরাসরি চেনেন না, তাঁরাও খুশি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক জানিয়েছেন, ধুব ধীরে হলেও সুস্থতার পথে অভিনেত্রী। তাঁর আর জ্বর আসেনি। শ্বাস-প্রশ্বাসও আগের তুলনায় স্বাভাবিক। সাত দিন পরে তাঁর সংক্রমণও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে অ্যান্টিবায়োটিক চলছে।
ঐন্দ্রিলার তৃতীয় বারের অসুস্থতার খবর ছড়াতেই তোলপাড় টেলিপাড়া, সামাজিক মাধ্যম। তারকা থেকে সাধারণ— সবার একটাই চাওয়া, সুস্থ হয়ে ফিরুক নায়িকা। ওকে শুয়ে থাকতে দেখলে কারও ভাল লাগে না। একটি করে দিন এগিয়েছে, উৎকণ্ঠা নিয়ে সবাই দিন গুনেছেন। তার মধ্যেই তাঁকে ঘিরে ভুয়ো খবরের ঢল। রাশ টানতে বাধ্য হয়ে প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুক পাতায় ছোট্ট বার্তা দেন। লেখেন, ‘ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’ তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব।’
ঐন্দ্রিলার সুস্থতার খবরে তাই সবাই সব্যসাচীর বিশ্বাসের জোর দেখছেন! ১ নভেম্বর রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। পারিবারিক বক্তব্য অনুযায়ী, আচমকাই তাঁর ডান দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তিনি ডান হা-পা কিচ্ছু নাড়াতে পারছিলেন না। সে কথা মা শিখা শর্মাকে জানারো পরেই বমি হয় তাঁর। তখনই সব্যসাচীকে ডেকে পাঠান তাঁরা। সব্যসাচী প্রথমে হাওড়ার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানান, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়েছে। এর পরেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় প্রথম সারির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। অভিনেত্রী তত ক্ষণে কোমায় চলে গিয়েছেন।
ঐন্দ্রিলার খোঁজ জানতে চেয়ে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করেছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর। তাঁর সঙ্গে সরাসরি ঐন্দ্রিলা বা সব্যসাচীর আলাপ নেই। তিনি ওঁদের ফেসবুক বন্ধু। কিন্তু উভয়ের ভালবাসা তাঁকে আকৃষ্ট করে। পরস্পরের প্রতি গভীর প্রেম তাঁর মনে ভালবাসার অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিশ্বাস ফিরিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই নূরের প্রার্থনা, ভাল থাকুক ভালবাসা। আবার চোখ মেলুন ঐন্দ্রিলা। আবারও সব্যসাচীর সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দি হোন। জিতে যাক সব্যসাচীর জেদ, বিশ্বাস। তা হলে ওঁদের দেখে আরও এক বার ভালবাসার প্রতি আস্থা রাখার ভরসা পাবেন বাংলাদেশের অভিনেতা।