বিদেশি নায়িকা কেমন? হাল্কা হেসে অঙ্কুশ বললেন, ‘‘সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতেছে। অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছে। মায়েরা যেমন বলেন, ‘রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী’, প্রায় তেমনটাই।’’
এক মুখ দাড়ি-গোঁফ। কপালে লাল সিঁদুরের তিলক! পরনের পোশাক টকটকে লাল রঙের বদলে ঘোর কালো। অঙ্কুশ হাজরা সন্ন্যাসী হয়ে যাচ্ছেন? অভিনেতাকে ঘিরে এ রকমই এক মুঠো গুঞ্জন! কিছু দিন আগেই শোনা যাচ্ছিল, তিনি নাকি লন্ডনে বাড়ি কিনেছেন। বছরের বেশির ভাগ বিদেশেই কাটাবেন। সেখানকার এক বিদেশিনীর প্রেমেও পড়েছেন! খবর ছড়াতেই ঐন্দ্রিলা সেন নাকি নিজের চোখে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু আটকাতে পারেননি! অঙ্কুশ সারা ক্ষণ ‘আমি চিনি গো চিনি’-ই গেয়েই চলেছেন! এ সবের মধ্যেই সোমবার হঠাৎ অভিনেতা হাজির দক্ষিণ কলকাতার ক্যাফেতে। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা পাকড়াও করতে অঙ্কুশ অনেক অজানা কথা ভাগ করে নিলেন।
টলিউডে অভিনেতা তাঁর আগামি ছবি ‘ওগো বিদেশিনী’র সুবাদে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছেন। এই প্রথম কোনও বাংলা ছবিতে নায়কের বিদেশি নায়িকা। সেই খবরের পাশাপাশি সমস্ত গুঞ্জনের সত্যতা যাচাই করাটাও লক্ষ্য। প্রশ্ন করতেই অভিনেতা হাসতে হাসতে জবাব দিলেন, ‘‘হ্যাঁ, লন্ডনে বাড়ি কেনাটাই বাকি!’’ তার পর যোগ করলেন, যাঁরা গুঞ্জন ছড়িয়েছেন তাঁদেরও দোষ নেই। ৪টি ছবির শ্যুটিং নিয়ে ৭০ দিনের জন্য বিদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন। একটি ছবির শ্যুট বাতিল। তাই ৫০ দিন পরে দেশে ফিরেছেন। মানতেই হবে, লন্ডনের জল-বাতাসে জাদু আছে। দাড়ি-গোঁফের ফাঁক দিয়েই অঙ্কুশের গালের গোলাপি আভা ঠিকরে বেড়োচ্ছে!
পর্দায় বিদেশিনীর সঙ্গে প্রেম...? কথা শেষের আগেই অঙ্কুশ যেন প্রশ্ন লুফে নিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগের দিন নায়িকার সঙ্গে প্রথম পরিচয়। হাই-হ্যালো। পরের দিনই প্রেম করতে হয়েছে। তাও আবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য! আমার অবস্থাটা এক বার ভাবুন।’’ ক্রমে সে সব পেরিয়ে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল আলেকজান্দ্রা টেলরের সঙ্গে। বিদেশি নায়িকা কেমন? এ বার অঙ্কুশের গালের গোলাপি আভা যেন আরও একটু গাঢ়! হাল্কা হেসে বললেন, ‘‘সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতেছে। অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছে। আমাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। দারুণ পরিশ্রমী। আমাদের মায়েরা যেমন বলেন রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, প্রায় তেমনটাই।’’ এই দুই অভিনেতা ছাড়াও ছবিতে আছেন রাজনন্দিনী পাল, মানসী সিংহ, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রযোজনায় এসকে মুভিজ। ছবি-মুক্তি ১৮ নভেম্বর।
এমন বৌমা পেয়েও ‘পর্দার মা’ মানসী সিংহের মন ওঠেনি! প্রশ্ন ছিল অঙ্কুশের কাছে। অভিনেতার মতে, ‘‘মায়েরা একটু আধটু এ রকমই হন। ছবিতে নানা কাণ্ড করে মানসীদি আমাদের প্রেমের নাগাল পাবেন।’’ ঐন্দ্রিলাকে যখন প্রথম বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তখনও কি অঙ্কুশের এই অবস্থাই হয়েছিল? অভিনেতার মা নায়িকা বৌমাকে একবারে মেনে নিয়েছিলেন? ব্যস, ঝুলি থেকে বেড়াল ‘আউট’। এ বার বেশ জোর গলায় অঙ্কুশ বললেন, ‘‘আমি প্রথম দিন ‘বন্ধু’ বলে ঐন্দ্রিলাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মায়েরা তো জন্ম-গোয়েন্দা। একটু পরেই আমায় ফিসফিসিয়ে বলল, ‘তোর বন্ধু? কোনও বন্ধুকে তো তুই বাড়ি নিয়ে আসিস না। কেবল ঐন্দ্রিলার বেলায় ব্যতিক্রম!’’ তার পরেই তিনি আহ্লাদে ডগমগ। কেন? ছোট পর্দায় অভিনয় দেখে হবু শাশুড়ি নাকি আগে থেকেই নায়িকা বৌমার অনুরাগী!