সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল গণবিবাহের অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানেই ঘটল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। পাত্রী অন্তঃসত্ত্বা কি না তা জানতে সেখানেই টেস্ট করাতে বাধ্য করা হয়। রিপোর্টের ফল আসে পজিটিভ। তারপরে যা হল বিশ্বাস করতে পারবেন না…..
সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল গণবিবাহের অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানেই ঘটল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। পাত্রী অন্তঃসত্ত্বা কি না তা জানতে সেখানেই টেস্ট করাতে বাধ্য করা হয়। রিপোর্টের ফল আসে পজিটিভ। তারপরেই ভেস্তে গেল বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দিন্দোরির গাদসারাই এলাকায়।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের 'মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ/নিকা যোজনা'র অধীনে আয়োজন করা হয়েছিল এই গণবিবাহের। সূত্রের খবর, পাত্রীরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা বোঝার জন্য সেখানেই তাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়। আর তাতেই ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হয় তাদের বিয়ে।
যে পাঁচ তরুণীর টেস্ট পজিটিভ আসে তাদের মধ্যে একজন জানান, "আমি একজনের বাগদত্তা। কিছুদিন ধরেই আমরা একসঙ্গেই বসবাস করছি এবং গণবিয়ে অনুষ্ঠানে দু'জনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ আসায় আমাদের বিয়েটা বাতিল হয়ে গেল। এই ঘটনা মেয়েদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক, এ ছাড়া পরিবারের কাছেও আমরা ছোট হয়ে গেলাম।"
এ পসঙ্গে দিনদোরি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেশ মারাওয়ি জানান, "সাধারণত বয়স বোঝা, রক্তশুন্যতার সিকল সেল অসুখ এবং শারীরিক সক্ষমতা বোঝার জন্য কিছু মেডিকেল টেস্ট করা হয়। কয়েকজন মেয়ের ক্ষেত্রে সন্দেহ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়েছিল। আমরা শুধু পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট জমা দিয়ে দিই। অন্তঃসত্ত্বা বলে চিহ্নিত হওয়ায় ৫ পাত্রীকে গণবিবাহ থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তটি সোশ্যাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নিয়েছে।"
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস।প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর নির্দেশ কে দিয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে এই বিরোধী দল স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েদের অপমান করতে চেয়েছে বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা।