
আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় ছিল দেশ। পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মহিলা ও সাধারণ মানুষেরা। নির্যাতিতার শাস্তির অপরাধের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করেছিল টলিউডের একাংশও। গত বছর আগস্ট মাস থেকে প্রতিবাদে নেমেছিলেন বহু তারকা। ধরনা মঞ্চেও বসেছিলেন তাঁরা।
এবার সেই টলিউডের একাংশকেই খোঁচা দিলেন অরিন্দম শীল। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে "অভিনেত্রীরা নাকি নতুন মোবাইল আর অর্থের বিনিময়তে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন, এই খবর নাকি টলিউডের সকলেরই জানা। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে চান না। সেই অভিনেত্রীর সঙ্গীরাই এই কথা বলেছেন"।
এরপরেই বহুবার বহু সংবাদ মাধ্যম থেকে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হয় পরিচালকের সঙ্গে। কিন্তু একবারও ফোন তোলেননি তিনি। অন্যদিকে তাঁর এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টলিউডের একাংশ।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বহু অভিনেত্রী। চৈতি ঘোষাল জানিয়েছেন, "যত দিন প্রতিবাদ চলেছে আমরা শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে দৌড়ে বেড়িয়েছি। কেবল ন্যায়বিচারের জন্য। আমাদের সেই অনুভূতি নিয়ে কে মুখ খুলেছেন? পরিচালক অরিন্দম শীল! যাঁর মাথায় নাকি একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ। হয়তো হাতে কাজ নেই, তাই প্রচারে থাকার জন্য যা ইচ্ছে তাই বলে দিচ্ছেন"।
অন্যদিকে অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না! তবে, অরিন্দমদার এই কথা গায়েও মাখছি না। বরাবর যেটা সঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছি। এ বারেও সেটাই করছি। আন্দোলন সাময়িক স্থগিত। তার মানে এটা নয়, সব ভুলে গিয়েছি। আমরা আরজি কর-আন্দোলনে যুক্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।"
এই প্রসঙ্গ নিয়ে দেবলীনা দত্ত জানান, "দাদার কারণে এই নিয়ে দু’বার আমার চোখের জল পড়ল। অরিন্দমদার বোন বলে ইন্ডাস্ট্রিতে একটা সময় যথেষ্ট কদর পেতাম। আমার পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে ওঁর অবদানও রয়েছে।” তাঁর দাবি, অরিন্দমের স্বভাব সম্বন্ধে তিনি প্রথম জানতে পারেন ‘এক পলকে একটু দেখা’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময়। ধারাবাহিকের নায়িকা প্রচণ্ড অস্বস্তি নিয়ে তাঁকে জানিয়েছিলেন, পরিচালক তাঁর সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেছেন। সে দিনও দেবলীনার চোখে জল এসেছিল। অভিনেত্রীর কথায়, “আবারও চোখ ভিজল অরিন্দমদার কথা শুনে। না, উনি কটাক্ষ করেছেন বলে নয়। এ সব আর পাত্তা দিই না। খারাপ লাগল এই ভেবে, কথাটা কে বলছেন! তিনি নিজেই এত অপ্রাসঙ্গিক যে তিনিই আবার অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন!"