বিশ্বকাপ নিয়ে ততটাও মাতামাতি নেই। এর আরও একটা কারণ আছে। এখনও পর্যন্ত ভারত বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি।
সারা বিশ্ব ফুটবলে জ্বরে কাঁপছে। কলকাতাও প্রচণ্ড ফুটপ্রেমী। টেলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তও কি সেই তালিকায়? কতটা ক্রীড়াপ্রেমী তিনি? ক্রিকেট না ফুটবল? কার দিকে তাঁর পাল্লা ভারী? ২২ নভেম্বর আর্জেন্তিনা বনাম সৌদি আরব-এর খেলা। দিব্যজ্যোতি কি মেসিকেই চোখ বুঁজে সমর্থন করবেন? এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে সাফ জানালেন ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোয়া’র ‘সূর্য’...
আমার এখন বিশাল দায়িত্ব। দুই যমজ মেয়ের বাবা! তাদের সামলাতেই সময় উড়ে যাচ্ছে। তাই আলাদা করে বসে খেলা দেখার উপায় নেই! আমার এই বক্তব্যে ঘাবড়ে গেলেন? ছোট্ট মজা। রিল আর রিয়েলকে এই সুযোগে মিশিয়ে দিলাম। হ্যাঁ, ‘বাবা’ হয়েছি তো! সেটা ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য়। ‘সূর্য’ আর ‘দীপা’র দুই যমজ মেয়ে! বুঝতেই পারছেন, শ্যুট থেকে ছুটি পাব না। অগত্যা, সেটেই মোবাইলে চোখ রাখব। খেলা মিস করার প্রশ্নই নেই! জানেনই তো, আমি খেলাধুলো, শরীরচর্চা খুব ভালবাসি।
আপনারা ভাবছেন, বাড়ির বড় স্ক্রিন আর মোবাইল কি এক হল? হয় না তো! বাড়ির ওই জায়েন্ট স্ক্রিনে ফুটবলের সবুজ মাঠ যেন জ্যান্ত হয়ে ওঠে! ছাঁটা ঘাসের ডগাগুলো পর্যন্ত স্পষ্ট। আরও ভাল করে খেলা উপভোগ করার জন্য দরকারে আমি আইনক্সের কয়েকটা আসনও দখল করতে রাজি। ২০২২-এর টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত বনাম ইংলন্ডের খেলা দেখব বলে কয়েকটি সিট সত্যি সত্যিই বুক করেছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে পপকর্ন, ঠান্ডা পানীয় আর খেলার প্রবল উত্তেজনা। কপাল খারাপ, ভারত সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল। কুছপরোয়া নেই। আমি আবার ফুটবলের থেকেও একটু বেশি ক্রিকেট ভালবাসি। বিশ্বকাপ নিয়ে তাই ততটাও মাতামাতি নেই। এর আরও একটা কারণ আছে। এখনও পর্যন্ত ভারত বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি। একেবারে ছোটবেলায় অতশত বুঝতাম না। স্কুলবেলা শেষ হতেই নিজের দেশের প্রতি মমতা তৈরি হয়েছে। তখন থেকেই এই বিষয়টি বেশ খারাপ লাগে। কবে আমার দেশ খেলবে? সেই অপেক্ষাতেই আছি। আশা, খুব শিগগিরিই তালিকার ৩২ নম্বরে উঠে আসবে ভারত।
নিজের দেশ খেলে না বলেই আমার সমর্থনগুলোও ভারী উল্টোপাল্টা। ছোট থেকে ব্রাজিলকে সমর্থন করি। কিন্তু মেসির অন্ধ ভক্ত! আবার ইনস্টাগ্রামে মেসিকে নয় রোনাল্ডোকে ফলো করি। আমি রোনাল্ডোর প্রেমে মত্ত। তার পরেও মঙ্গলবারের খেলায় আর্জেন্তিনার সমর্থক। মেসি ঝড়ে সৌদি আরব দাঁড়াতেই পারবে না। আমি সেই মুহূর্তগুলো উপভোগের অপেক্ষায়! আরও একটা মজার ব্যাপার। প্রত্যেক বছর আয়োজক দল প্রথম ম্যাচটি যেতে। এর আগে রাশিয়া আয়োজক ছিল। খেলায় জিতেছিল। তারও আগে ব্রাজিল। খেলা সেমসাইড দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার পরেও দল জিতেছিল। এ বছর কাতার আয়োজক দেশ। সে কিনা ২ গোলে হারল! ৮৪ বছর পরে এমন মজার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন
হাসি পেয়েছে যখন সব্যকে শুনতে হয়েছে, প্রেমিকাকে দেখিয়ে কেরিয়ার বাঁচাচ্ছে: রাহুল অরুণোদয়
‘মমতা দিদিই ঠিক, চপ-মুড়ি বিক্রি লজ্জার নয়!’ কলকাতার রাস্তায় চা-ওমলেট বেচে বুঝলেন সীমা বিশ্বাস
‘মিষ্টির তাগিদেই লেখা, ও নেই! কী লিখব?’ পোস্ট, ফেসবুক পেজ সব মুছলেন সব্যসাচী, সাক্ষী সৌরভ