''হাওয়া ছবি নিয়ে এত মাতামাতি! অনির্বাণ ভট্টাচার্যর ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ও ভাল ছবি। সেখানে এমন দর্শক উন্মাদনা কই?'', চঞ্চল চৌধুরীকে ঠুকলেন রানা সরকার!
রূপঙ্কর বাগচির ছায়া কি রানা সরকারের কথায়? কলকাতা যখন কেকে-ম্যানিয়ায় ভুগেছিল তখন মুম্বইয়ের প্রথম সারির শিল্পীকে কটাক্ষ করে রূপঙ্কর বলেছিলেন, ‘হু ইজ কেকে?’ একই সঙ্গে অনুযোগ ঝরেছিল তাঁর গলাতে, বাংলার শিল্পীরা কি গাইতে পারেন না! কই, তাঁদের নিয়ে তো এত উন্মাদনা হয় না? সেই একই সুর এ বার প্রযোজক রানা সরকারের গলায়। সোমবার সন্ধেয় তিনি ফেসবুকে সরাসরি তোপ দেগেছেন চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বাংলা ছবির অভিনেতাদের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেছেন, ‘আমাদের ঋত্বিক চক্রবর্তী কী খারাপ অভিনয় করেন ? তার কটা সিনেমা আপনারা হলে গিয়ে দেখেন ? বা এই উন্মাদনা দেখান?’ একই সঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ নিয়েও মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, অনির্বাণের ছবি চঞ্চলের ছবি থেকে তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। এই ছবি দেখতেও দর্শক ভিড় করছেন প্রেক্ষাগৃহে। কিন্তু ‘হাওয়া’-র মতো উন্মাদনা কই?
'হাওয়া' মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই চঞ্চল চৌধুরীতে মুগ্ধ কলকাতা। দিন এগিয়েছে। ‘হাওয়া’র দাপট বেড়েছে। তাতেই টালমাটাল শহরের প্রতিটি দর্শক। সিরিজ ‘তকদির’ সেই উন্মাদনাকে ঝড়ে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন থেকেই তাই এ পার বাংলায় ওপার বাংলার অভিনেতারই জয় জয়কার। তাঁর ছবি দেখার জন্য নন্দন চত্বরের এ মাথা থেকে ও মাথা গিজগিজ নানা বয়সের দর্শকে। রাজ চক্রবর্তী, তথাগত মুখোপাধ্যায়-সহ টলিউডের নামী, দামি ব্যক্তিত্বরা চঞ্চলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রথম দিনে এসে দেখে গিয়েছেন সেই ছবি। দর্শক চাহিদায় বাড়তি শো-এর ব্যবস্থা করতে হয়েছে নন্দনে। ঠিক তখনই ই বাংলাদেশের অভিনেতাকে এ দেশের প্রযোজকের কটাক্ষ।
রানার আরও বক্তব্য, 'আমি নিজে 'হাওয়া' দেখেছি নন্দনে, আমার মতে এটা, কেবলই আর একটি ভাল ছবি। তার বেশি কিছু না। এরকম আরো অনেক বাংলা সিনেমা রিলিজ হয় কেউ পাত্তাও দেয় না।' রূপঙ্করের মতো অভিযোগ তাঁরও, ‘আসলে হুজুগে বাঙালির কাছে গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। একটু মুম্বই, দক্ষিণ, অধুনা বাংলাদেশের কন্টেন্টের প্রতি আগ্রহ জন্মেছে। আর সেই সঙ্গে চলছে কলকাতার সিনেমা কত খারাপ তাই নিয়ে খাপ পঞ্চায়েত। এটা আসলে নিজের ছায়ার সাথে যুদ্ধ...!’ পাশাপাশি, তিনি চঞ্চলের অভিনয় প্রতিভা এবং ছবির ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটিরও প্রশংসা করেছেন।
রানার এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছড়ে পড়েছে। কেউ বলেছেন, ওভাররেটেড, 'এটা তো নিশ্চিত।' কারওর যুক্তি, ‘চঞ্চলের মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। ’কারাগার', ‘তকদির’ দেখেছি।' কেউ পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়েছেন প্রযোজককেই। তাঁর বিদ্রূপ, বাংলাদেশের এমন ভালো কাজ দেখে, '১৪ কোটির এতো ভাল বক্স অফিস শুনে হিংসা হয়?'