সোনালী চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর।
টলিপাড়ার স্বনামধন্য অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী আর নেই। এটা যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না অনুরাগীরা। সোমবার সাতসকালেই এমন একটা মন খারাপ করা খবরে সকলের মনই ভারাক্রান্ত। টলিপাড়ায় সোনালী চক্রবর্তীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলেই শোকাহত। গত দু-দিন ধরেই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সোনালী। সোমবার ভোর ৪ টের সময় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
এই বয়সেই সোনালী চক্রবর্তীর আচমকা চলে যাওয়াটা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে মন খারাপ সকলেরই। সোনালী চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলি হল দাদার কীর্তি,সংসার-সংগ্রাম ইত্যাদি। সিনেমা ছাড়াও ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন সোনালী। তার মৃত্যু অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। সোনালী চক্রবর্তীর স্বামী শংকর চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পরিবার পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
লিভারের সমস্যা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। যদিও তারপর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। তবে ফের শারীরিক সমস্যা বাড়তেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীকে। তারপর থেকেই একটানা হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সোনালী। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না। সকলকে ছেড়ে প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে ইতিমধ্যেই শোকের ছাড়া নেমে এসেছে টলিপাড়ায়। স্বামী শঙ্করই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর ছবি পোস্ট করেছেন। এবং ক্যাপশনে লিখেছেন, 'ভরা থাক স্মৃতিসুধায়'। অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবরে স্বামী শঙ্কর চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পেটে ফ্লুইড জমেছিল অভিনেত্রীর। প্রথম অবস্থায় তাকে এই কারণেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবং পুরোনো অসুস্থতা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। একটা সময়ে ভেল্টিলেটরের সাহায্য়েও রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু তারপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। হাসপাতাল সূত্রেও জানা গিয়েছিল, আপাতত কিছুটা ভাল রয়েছেন। এবং বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর তিনি শুটিংয়ে ফিরতে পারবেন, তবে তা আর হল না। সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সোনালী চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশন জগতের স্বনামধন্য অভিনেত্রী ছিলেন সোনালী চক্রবর্তী। তবে নায়িকা হিসেবে যতটা না জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিলেন খলনায়িকা হিসেবে। একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সোনালী। 'হারজিত'- ছবিতে নায়িকার সৎ মায়ের ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবং বন্ধন ছবিতে অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন সোনালী। তবে বেশ অনেকদিন ধরেই বড়পর্দা থেকে সরে এসেছিলেন সোনালী। সম্প্রতি ছোট পর্দায় দেখা যাচ্ছিল তাকে। গাটছড়া ধারাবাহিকে খড়ির জেঠিমার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সোনালীকে। সেটাও খুব বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হল না। তবে আরও কোনওদিনই কোনও চরিত্রে দেখা যাবে না তাকে। তিনি আর ফিরে আসবেন না। অভিনেত্রীর অকাল প্রয়াণে অনুরাগী থেকে তার সকল সহকর্মীরা মর্মাহত। সোনালীকে হারিয়ে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন স্বামী শঙ্কর চক্রবর্তী এবং তার মৃত্যুতে পরিবারের সকলেই খুবই শোকাহত । এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর মৃতদেহ তার বাস ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সোনালী চক্রবর্তীকে শেষবিদায় জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।