সব্যসাচীর আশ্বাস, ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’
মুখ খুলতে বাধ্য হলেনসব্যসাচী চৌধুরী! ফোন নয়, ফেসবুকে। মঙ্গলবার রাত থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঐন্দ্রিলা শর্মার। বুধবার সে খবর ছড়াতেই সংবাদমাধ্যম খবরে খবরে ছয়লাপ! সব্যসাচী চুপচাপ ঐন্দ্রিলাকে আগলে রয়েছেন। এবং টুঁ শব্দ করেননি। সংবাদমাধ্যম বসে নেই। কখনও অসুস্থ অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। কখনও পড়শির সঙ্গে। সব্যসাচীর পোস্ট অনুযায়ী, কখনও ‘ভুয়ো খবর’ও পরিবেশিত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তিন দিনের মাথায় সরব তিনি। ফেসবুকে তাঁর আন্তরিক আর্জি, ‘ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না।’
গত তিন ধরে ঠায় তিনি ঐন্দ্রিলার পাশে। এক বারও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। এক বারের কোনও সাংবাদিকের ফোন ধরেননি। শুক্রবার দুপুরে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না। শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’ সব্যসাচীর এই কথাই বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন তাঁর বন্ধু সৌরভ দাসও। সৌরভের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘সবার উদ্দেশ্যে সনির্বন্ধ অনুরোধ, দয়া করে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনা বন্ধ করুন। আমি আর দিব্য শুরু থেকে সব্যসাচীর সঙ্গে আছি। কেউ ফোন ধরার অহস্থায় নেই। দয়া করে বিব্রত হবেন না, বিব্রত করবেনও না। সঠিক সময় সব্য আপনাদের সব খবর দেবে। যেমন সে বরাবর দিয়ে থাকে। ঐন্দ্রিলার জন্য আপনারা উদ্বিগ্ন। তার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। দয়া করে ওর জন্য প্রার্থনা করুন।’
ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার সময়ে বরাবরই সব্যসাচী ঢাল হয়ে তাঁকে আগলেছেন। দ্বিতীয় বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরে তিনি শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বাকি সময় তাঁর কাছেই থাকতেন। তখনও ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর অসংখ্য অনুরাগী ছোট পর্দার বামাখ্যাপার পোস্ট পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন। কারণ, সেই পোস্টে ঐন্দ্রিলা সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা থাকত। এ বারের আকস্মিক অঘটন সম্ভবত সেই সুযোগ দেয়নি সব্যসাচীকে। তাঁর ঐন্দ্রিলা ফের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আপাতত অভিনেতার একমাত্র লক্ষ্য তাঁকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। অত্যন্ত জোরের সঙ্গে সে কথা তিনি পোস্টে উল্লেখও করেছেন, ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’ একই সঙ্গে সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার পরিবারকেও বিব্রত না করার অনুরোধও জানিয়েছেন, ‘ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না।’