অরিজিৎ বললেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কথা খাইনি।… এটা পরিষ্কার যে কিছু তো একটা লুকনোর চেষ্টা চলছে। কিছু একটা হবেই। শিক্ষক দিবসের অপেক্ষা।
কুণাল ঘোষকে মোক্ষম জবাব দিলেন অরিজিত। শুক্রবার সকালে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু, সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্রে, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?
এর কিছু পরই এক্স হ্যান্ডেলে অরিজিৎ বললেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কথা খাইনি। মিডিয়ায় কিছু নতুন তথ্য উঠে আসছে- ফোন কলস, নীল বা সবুজ চাদর, সেমিনার হলের দুই দরজা। এটা পরিষ্কার যে কিছু তো একটা লুকনোর চেষ্টা চলছে। কিছু একটা হবেই। শিক্ষক দিবসের অপেক্ষা।
এদিকে ২৮ অগস্ট অরিজিৎ সিং এক বিশেষ পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট, কলকাতার কেন্দ্রস্থলে ঘটা একটি ট্র্যাজেডি গোটা জাতিকে তাঁর মূল থেকে উৎখাত করেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণ শিক্ষানবিশ ডাক্তারের নৃশংস খুনের প্রতিবাদের আগুনের ঝড় তুলেছে ভারত জুড়ে। এই গানটি ন্যায়বিচারের জন্য একটি আর্তনাদ, অগণিত নারীদের গলার আওয়াজ, যা নিয়ে তাঁরা ভুক্তভোগী। চলুন আমরা সকলে অভয়া-র সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যে তরুণ ডাক্তার মারা গিয়েছেন, যিনি নির্ভয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে মহিলারা যে লড়াই করে চলেছেন, তার হয়ে গলা তুলি আমরা। আমাদের এই গান, সারা দেশের ডাক্তারদের কন্ঠস্বর, যারা বিপদের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও অক্লান্তভাবে সেবা করে। এটি কেবল একটি প্রতিবাদী গান নয়- এটি একটি ডাক যে মহিলাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদার জন্য আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।