সৌন্দর্যের পিছনে কি লুকিয়ে রয়েছে এই রহস্য, বোটক্স নিয়ে মুখ খুললেন শুভশ্রী
একের পর এক ছক ভেঙে নজির গড়ছেন টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। আর মাত্র কয়েকদিন পরই নতুন রূপে ইন্দুবালা-র অবতারে ধরা দেবেন শুভশ্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডেবিউ সিরিজ নিয়ে মুখ খুললেন শুভশ্রী।
টলিপাড়ার প্রথমসারির অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেই চলেছেন। আর মাত্র কয়েকদিন পরই নতুন রূপে ইন্দুবালা-র অবতারে ধরা দেবেন শুভশ্রী। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ইন্দুবালা হয়ে পর্দায় ফিরছেন শুভশ্রী। যেখানে তাকে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথম লুকে যথেষ্ঠ হইচই ফেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। ইন্দুবালা ভাতের হোটেল দিয়েই ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল দিয়েই ওয়েব সিরিজে পা রাখছেন শুভশ্রী। ইতিমধ্যেই ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজটি দেখার জন্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নানা খুঁটিনাটি তথ্য শেয়ার করলেন শুভশ্রী।
এই মুহূর্তে শুভশ্রীকে ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারকের আসনে দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে হাতে রয়েছে একাধিক ছবির কাজ। তবে কি এবার পুরোপুরি কাজে ফিরলেন শুভশ্রী? উত্তরে শুভশ্রী বলেন, আমার কাছে রোজ একটা করে কাজের প্রস্তাব আসে । তবে ছেলে ও পরিবারের সঙ্গে কাটাতে ভাল লাগে।
শুভশ্রী আরও বলেন, আমি এমন ছবির কাজ করতে চাই, যা আমাকে ঘর থেকে টেনে বার করবে, যেখানে মনে হবে এর থেকে ভাল সময় আরও কাটাতে পারি। সেই কারণেই ধর্মযুদ্ধ, হাবজি-গাবজি,ইন্দুবালা ভাতের হোটেল , বৌদি ক্যান্টিন-এ কাজ করছি।
ওয়েব সিরিজে আসার জন্য কেন ইন্দুবালা-কে বেছে নিয়েছেন? অভিনেত্রী সটান বলেন, ওয়েব সিরিজে আসার জন্য ইন্দুবালা সেরা চরিত্র। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে নিজেকে দোষী মনে হতো। এবং দেবালয় বলেছিল, চিত্রনাট্য লিখতে গিয়ে তোমাকেই চোখ বন্ধ করে দেখতে পেয়েছি।
ইন্দুবালা করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়েননি? শুভশ্রী বলেন, বয়স্ক ইন্দুবালার স্বর নিয়ে ভীষণই ভয়ে ছিলাম। জানতাম শরীরী ভাষা বা অভিনয় নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে গলার স্বর পাল্টাবো কী করে। এটার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। তবে এর জন্য ভয়েস মডিউলেশনের ট্রেনিং নিইনি। শুটিংয়ের সময় ও ডাবিংয়ের সময় নানাভাবে স্বর বদলেছি। তারপর পরিচালকের পছন্দমতো পর্দায় রাখা হয়েছে।
দেবালয় ভট্টাচার্যর সঙ্গে কাজ নিয়ে শুভশ্রী বলেন, শুটিং স্পটে দাঁড়িয়ে একদিনে গোটা চিত্রনাট্য লেখা কাগজটাই ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে আবার ওই ফ্লোরেই নতুন করে চিত্রনাট্য লিখে শুটিং শুরু হয়েছে। তবে পরিচালক আমার কাজের প্রশংসা করেছে। ফ্লোর ছেড়ে খুব একটা বেরোতাম না। শুটিংয়ের ফাঁকে কাজটা দেখতাম মন দিয়ে।
ইন্দুবালার শুটিং শেষ হলেও চরিত্র ছেড়ে বেরানোটা কঠিন ছিল। আসলে আমি থেকে বেরোলেই ইন্দুবালা হয়ে যেতাম। ইন্দুবালার অনেকটাই নিজের জীবনে বয়ে নিয়ে আসতাম বাড়িতে। তবে আমার সঙ্গে সারাজীবন রয়ে যাবে ইন্দুবালা। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ৭৫ বছরের চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে অনেকটা পরিণত হয়েছে।
ছেলে হওয়ার পর ওজন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছিল টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে ট্রোলডও হয়েছিলেন শুভশ্রী। তবে ওজন ঝরিয়ে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হয়ে রীতিমতো ভক্তদের চমকে দিয়েছেন শুভশ্রী। তবে ট্রোলিং নিয়ে দুঃখ পান না অভিনেত্রী বরং জীবনের প্রতিটা অধ্যায় উপভোগ করেন শুভশ্রী।
বোটক্স করিয়েই নাকি এত সুন্দর শুভশ্রী। এবার গুঞ্জনে মুখ খুলে অভিনেত্রী জানান, আমিও জানতে চাই কোথায় করিয়েছি। এই সব নিয়ে যারা এত কথা বলে, তাদের বলব নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবতে। আর আমি যদি বোটক্স করিয়েও থাকি তাহলে কার কী এসে যায়। এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।
সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী জানিয়েছেন, হাতে বেশ কিছু ছবির কাজও রয়েছে। তার মধ্যে বাবা যাদবের পাখি মুক্তির অপেক্ষায়। তবে চরিত্র তো রোজই আসে, তবে কোন চরিত্র আমাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে বার করবে সেটাই দেখার।