'কেউ যেন ছাপিয়ে না যায় পর্দার ইন্দুবালাকে', ডেবিউ ওয়েব সিরিজ নিয়ে মুখ খুললেন শুভশ্রী

টলিপাড়ার প্রথমসারির অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেই চলেছেন। একের পর এক ছক ভেঙে নজির গড়ছেন টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।   নতুন রূপে ‘ইন্দুবালা’-র অবতারে  ধরা দিয়ে মুহূর্তে সকলকে চমকে দিয়েছেন শুভশ্রী। 

ওয়েব দিয়ে নতুন ইনিংস শুরু করলেন শুভশ্রী। ‘ইন্দুবালা’-র অবতারে ওয়েবে হাতেখড়ি শুভশ্রীর। ইতিমধ্যেই  ‘ইন্দুবালা’ নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী, এবার ইন্দুবালার জার্নি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 
 

প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে শুভশ্রী জানান, ঠিক কীভাবে তিনি ইন্দুবালা হয়ে উঠেছিলেন। মেক আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডুর  মেক আপের প্রশংসা তো করতেই হয় এছাড়া নিজেকে কীভাবে ইন্দুবালা করে তুললেন তাও জানালেন নায়িকা।
 

শুভশ্রী জানান, দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে’র স্ক্রিপ্টটা একবার নয় একাধিকবার পরেছিলেন। এবং তারপরেই কল্লোল লাহিড়ীর উপন্যাসটাও পড়ে ফেলেছিলেন। তারপরই শুরু হয়  ইন্দুবালাকে নিয়ে দেবালয়ের সঙ্গে আলোচনা। বারেবারে ফোন করে দেখা করে ইন্দুবালাকে পুরো নিজের মধ্যে গড়েপিঠে নিয়েছিলেন নায়িকা।
 

'হইচই'-এ মুক্তি পেয়েছে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। কল্লোল লাহিড়ীর গল্পের উপর ভিত্তি করে বানানো দেবালয় ভট্টাচার্য পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে’ ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার চরিত্রে  যথেষ্ঠ নজর কেড়েছেন শুভশ্রী। 
 

শুভশ্রী বলেছেন, ছবির গল্প, সম্পাদনা, সিনেমাটোগ্রাফি, পোশাক, মেক আপ, সাউন্ড, অভিনয় এইসব কিছু যেন কখনওই পর্দার ইন্দুবালাকে ছাপিয়ে না যেতা পারে। কারণ ইন্দুবালাকে ঘিরে সবটা।
 

 ওয়েব সিরিজে আসার জন্য ইন্দুবালা সেরা চরিত্র। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে নিজেকে দোষী মনে হতো। এবং দেবালয় বলেছিল, চিত্র নাট্য লিখতে গিয়ে তোমাকেই চোখ বন্ধ করে দেখতে পেয়েছি। যার ফলে আমি নিজেই ইন্দুবালা।
 

শুভশ্রী আরও বলেন, আমি এমন ছবির কাজ করতে চাই, যা আমাকে ঘর থেকে টেনে বার করবে, যেখানে মনে হবে এর থেকে ভাল সময় আরও কাটাতে পারি। সেই কারণেই 'ধর্মযুদ্ধ', ‘হাবজি-গাবজি’,'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' , ‘বৌদি ক্যান্টিন’-এ কাজ করছি।
 

শুভশ্রী বলেন, একদিকে সংসার, অন্যদিকে কাজ- এই দুই ব্যালেন্স করে নিজের জীবনকে এভাবেই দেখতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী।  তবে কাজের ক্ষেত্রে পুরোটাই ঈশ্বরের দান। বড় কাজ দাও,জাতীয় পুরস্কার দাও, তেমনটা কখনও বলিনি, তবে সবটাই তার দান।