আয়নায় নিজেকে দেখে ভয়ে শিউরে উঠত ঐন্দ্রিলা,ক্যান্সার জয়ী তারকার জীবনযুদ্ধ হার মানাবে রূপোলি পর্দাকে
'ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট'-সকলের মুখেই এখন একটাই প্রার্থনা। ২০১৫ সালে অদম্য জেদ এবং বাঁচার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ১৬ টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩ টি রেডিয়েশেনের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর জীবনযুদ্ধ যেন হার মানাবে রূপোলি পর্দাকে।
টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা যেন প্রতিদিনই নতুন করে কোনও পাঠ শেখাচ্ছে। যারা লড়াই করার ইচ্ছাটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তারাও যেন তাকে দেখে লড়াই করার শক্তি ফিরে পাচ্ছেন। লড়াকু ঐন্দ্রিলার জীবনযুদ্ধ হার মানাবে রূপোলি পর্দাকেও।
টলিপাড়ার সকলেরই মন খারাপ ঐন্দ্রিলার জন্য। আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও টেন্টস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। যা খুবই বিরল একটি রোগ। দীর্ঘ দেড় বছরের লড়াই করে ২০১৫ সালে ক্যান্সারে জয়ী হয়েছিলেন।
১৬ টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩ টি রেডিয়েশেনের পর ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। অদম্য জেদ এবং বাঁচার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ফের মারণ রোগকে হারিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ঐন্দ্রিলা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ক্যান্সারকে হারিয়ে যুদ্ধে জয়ী হন অভিনেত্রী।
একাদশ শ্রেণীতে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেইসময় থেকেই জীবনযুদ্ধ শুরু। ২০১৮ সালে দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে ক্যান্সার মুক্ত হওয়ার ঘটনা সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। কতটা মনের জোর থাকলে এমনটা হয় তা শিখিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলা সেদিন জানান,ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর কেমো নিতেই মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। এমনকী মুখের পুরো চেহারাটাই বদলে গিয়েছিল। নিজেকে যেন চেনা যেত না।অভিনেত্রী আরও জানান, একদিন মধ্যরাতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন তিনি। শরীরে কেমো দেওয়ার ফলে চোখে মুখে খুবই জ্বালা করছিল। কিছুটা আরাম পেতেই মুখে জলের ঝাপটা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর নিজের মুখটা আয়নায় দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিলেন নায়িকা।
জিয়নকাঠি অভিনেত্রীর জীবনের এই ঘটনা শুনে সকলেরই চোখে জল চলে এসেছিল। তিনি সকলের সামনে অকপটে এও বলেছিলেন আমি যদি নিজেকে দেখতে এতটা ভয় পাই তাহলে বাইরের লোকেদের কী অবস্থা হবে।
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। বাবা ও দিদি দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। তার পরিবার চেয়েছিল ঐন্দ্রিলাও চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকুন। কিন্তু তিনি কখনওই চাননি চিকিৎসক হতে।
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন, তার নিজের জীবনের কোনও সিদ্ধান্তেও পরিবারও কখনও বাধা দেয়নি। বরং খেলাধূলা,শরীরচর্চা, নাচ, গান এই সবনিয়েই বেশ দিব্যি চলছিল। তবে আচমকাই পেটে বড় একটা টিউমার ধরা পড়ে। সেখান থেকে শুরু হয় জীবনযুদ্ধ।
একের পর এক ঝড় যেন বয়ে চলেছে টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার উপর দিয়ে। দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে ক্যান্সারের সঙ্গে দেড় বছরের লড়াই করে ২০১৫ সালে মারণ রোগকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ফের পাঁচ বছরের মাথায় মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন 'জিয়ন কাঠি' খ্যাত অভিনেত্রী। যুদ্ধ যেন অবিরাম চলেই যাচ্ছে অভিনেত্রীর সঙ্গে।
আচমকা কাঁধে মারাত্মক ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। জানা গেছিল, অভিনেত্রীর ডানদিকের ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। এবং সেখান থেকে ব্যথার সূত্রপাত। তারপরই বায়োপসি রিপোর্টে জানা যায় ফের ক্যান্সারে বাসা বেঁধেছে শরীরে।মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে শুধু অভিনয়ে নয় সমানতালে পড়াশোনাটাও চালিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি বড় পর্দাতেই অভিনয় করতে দেখা গেছে ঐন্দ্রিলাকে।