
১২ জুন লন্ডনে মৃত্যু হয়েছে শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের। মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ৬ দিন। এখনও হয়নি শেষকৃত্য। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কিছু আইনি বাধা থাকায় এক দেশ থেকে অন্য দেশ মরদেহ নিয়ে আসায় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যদিও এখন সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। এদিকে আবার সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর থেকে প্রাক্তন স্ত্রী করিশ্মা কাপুর ও বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া কাপুরকে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালবেলাতেই মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল করিশ্মা কাপুরকে। মুখে ছিল না মেকআপ। পরনে সাদা সালোয়ার কামিজ। চোখে ছিল রোদচশমা। গাড়ি থেকে নেমেই মুম্বইয়ের কালিনা বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে ঢুকে যান তিনি। সঙ্গে দুই ছেলেমেয়ে সামাইরা ও কিয়ান। দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। সঞ্জয়ের শেষকৃত্য হবে ১৯ জুন অর্থাৎ আজ বিকেল ৫ টায়। তারপর ২২ জুন রাজধানীর তাজ প্যালেস হোটেলের দরবারে হবে স্মরণসভা। ইতিমধ্যে পরিবারের তরফ থেকে শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে তালিকায় আছে করিশ্মার দুই সন্তানের নাম। শোনা যাচ্ছে এখন দিল্লিতেই থাকবেন করিশ্মা।
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। পোলো ম্যাচ খেলতে গিয়ে ঘটেছিল বিপত্তি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। লন্ডনে পোলো খেলার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগ দেননি সঞ্জয়। প্রায় ১১ বছর হল করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে সঞ্জয় কাপুরের। তারপর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন।
প্রসঙ্গত, দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে কখনোই সুখী ছিলেন না করিশ্মা। তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন তাঁর সঙ্গে সঞ্জয়ের পরিবারের লোকের বনিবনা হত না। তেমনই সঞ্জয় বিয়ের পর তাঁকে কু প্রস্তাব দিয়েছিল। তাঁর বন্ধুর শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেয়। সঞ্জয় তাঁর বন্ধুর কাছে করিশ্মার মূল্য নির্ধারণ পর্যন্ত করেছিলেন। করিশ্মা এতে রাজি না হওয়ায় তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হত। এমনকী, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে মানসিক নির্যাতন করতেন। নানান বিষয় নিয়ে তাঁদের সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছিলেন করিশ্মার। শেষে দীর্ঘ আইনি পর্বের পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর ২০১৬ সালে সঞ্জয় ফের বিয়ে করেন।