শ্বশুরমশাই নয়-রাহুল আমার ছেলের মতো, ওদের বাবা হয়েই থাকতে চাই হাসি মুখে সাংবাদিকদের মিষ্টি বিলোলেন সুনীল শেট্টি
চার বছর একে অপরকে ডেট করার পর, আথিয়া শেঠি এবং ক্রিকেটার কেএল রাহুল গাঁটছড়া বাঁধলেন। খান্ডালায় সুনীল শেঠির বাংলো 'জাহান'-এ পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে দুজনেই বিয়ে করেন।
মেয়ের বিয়ের পর সাংবাদিকদের সামনে হাত জোড় করে এসে উপস্থিত হন অভিনেতা সুনীল শেঠি। খবর দেন মেয়ের বিয়ে সুসম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক সাংবাদিককে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিয়ের পরই মহারাষ্ট্রের খান্ডালার বাংলোর বাইরে বেরিয়ে আসেন সুনীল শেট্টি স্বয়ং। বিনম্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সুনীলের দুই সন্তান – মেয়ে আথিয়া এবং ছেলে আহান। একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি সুনীল। ১০০জন অতিথির আপ্যায়ন করেছেন যথাযথ। তাঁরা এবং কেএল রাহুলের পরিবার দক্ষিণ ভারতীয়। ফলে দক্ষিণ ভারতীয় রীতি মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আথিয়া শেঠি এবং কেএল রাহুলের বিয়েতে অনেক ক্রিকেটারও উপস্থিত ছিলেন। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ থাকায় বিয়েতে পৌঁছতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার অনেক খেলোয়াড়।
সুনীল শেঠি এদিন জানান যে আথিয়া শেঠি এবং কেএল রাহুলের বিয়ের রিসেপশন আইপিএলের পরে অনুষ্ঠিত হবে। বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে, সুনীল এবং তার ছেলে আহান সাংবাদিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করতে বেরিয়েছিলেন।
মেয়ের বিয়েতে সাবেকি দক্ষিণী গলা পর্যন্ত বোতাম আটকানো চন্দন রঙের কুর্তা এবং লুঙ্গিতে সেজেছিলেন সুনীল। তাঁর কপালে ছিল তিলক। গলায় ছিল রুদ্রাক্ষ এবং সোনার মালা। হাত জোড় করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন সুনীল। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন মিষ্টি। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন হাত জোর করে।
এ দিন সুনীল বলেছেন, “আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন আমি শ্বশুরমশাই হয়ে গিয়েছি। সুন্দরভাবেই বিয়ের কাজ মিটেছে। পরিবারের নিকট আত্মীয়দের নিয়ে ছোট্ট আয়োজন করেছিলাম আমরা। আমি শ্বশুর না হয়ে ওদের সকলের বাবা হয়েই থাকতে চাই। সেই দায়িত্বটা পালন করতেই আমার বেশি ভাল লাগে।”
সাংবাদিকদের বিয়ের খবর প্রথম জানিয়েছিলেন সুনীলই। জানিয়েছিলেন, বিয়ে সারা হলেই তিনি বাচ্চাদের সামনে নিয়ে আসবেন। কথা রেখে বিয়েন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে সাংবাদিকদের সামনে আসেন রাহুল আথিয়া।