
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মন্তব্য পেশ করেন কমল হাসান। তিনি বলেন, আমি প্ররোচনামূলক ছবির বিরুদ্ধে। কোনও ছবির নামের নীচে সত্য ঘটনা লিখে দেওয়াটা যথেষ্ট নয়। সেই ঘটনা আদপে ঘটে থাকলে তবেই তা সত্য। আর এখানে যা দেখানো হয়েছে তা সত্য নয়।
সদ্য এক সাক্ষাৎকার ছবি নিয়ে নিজের মন্তব্য পেশ করেন কমল হাসান। আর তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থন করলেন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনি বললেন, সত্যি কথা বলতে আজকাল সিনেমা তৈরি করতে গিয়ে রাজনীতি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সিনেমা অরাজনৈতিক হওয়াটা ভীষণ কঠিন। তিনি বলেন, দ্য কেরালা স্টোরির মতো একাধিক প্ররোচনামূলক ছবি তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি একজন ছবি নির্মাতা। আমি সিনেমা বানাই। আমি অ্যাক্টিঊিস্ট নই। আমার মতে, সিনেমা সত্য ঘটনা ও বাস্তবের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়। - এভাবে কমল হাসানের মন্তব্যকে সমর্থন করে নিজের ভাবনার প্রকাশ করলেন পরিচালক।
এদিকে ছবির আয় গড়ল রেকর্ড। সর্বাধিক আয়ের ছবির তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করল দ্য কেরালা স্টোরি। সোমবার দ্য কেরালা স্টোরি ছবির আয় ছিল ১.৮৫ কোটি। শুক্রবার আয় ছিল ২.৫০ কোটি। বর্তমানে ছবির আয় প্রায় ২৮০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
গত সোমবারই ২০০ কোটির ঘরে পা রাখল দ্য কেরালা স্টোরি। পাঠান ছবির পর এই ছবির আয় গড়ল রেকর্ড। আপাতত বছরের সেরা আয় করা ছবির তালিকায় বাকি ছবি দের টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল দ্য কেরালা স্টোরি। এভাবে দ্য কেরালা স্টোরি গড়ল রেকর্ড। রণবীর কাপুরের তু ঝুটি ম্যায় মক্কা যেখানে ২২৩ কোটি আয় করেছিল। তেমনই সলমনের কিসি কা ভাই কিসি কি জানকে টেক্কা দিয়েছে ছবিটি।
৫ মে মুক্তি পেয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। ছবির ট্রেলার লঞ্চ থেকে একের পর এক সমস্যায় ছবিটি। একাধিক আইনি মামলায় জড়িয়েছেন। দীর্ঘ বিতর্কের পর মুক্তি পায় ছবিটি। ওপেনিং ডে-তে ছবির আয় করেছে ৮.০৩ কোটি। করেন।
৯ দিনে ছবির আয় প্রবেশ করেছেন ১০০ কোটির ক্লাবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন ছবির প্রশংসা। এই খবরে যখন স্বস্তি পেয়েছিলেন ছবির টিম তখন দেখা দিন নতুন বিপদ। তামিলনাড়ুর সমস্ত হল থেকে সরানো হয়েছিল ছবিটি। তারপর তা পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হয়। UP-তে আবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করল যোগী সরকার।
এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুধ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ছবিটি সে রাজ্যে করমুক্ত সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি। হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে কীভাবে সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে তা ফুটে উঠেছে ছবিতে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে নার্সিং পড়তে গিয়ে কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের ট্রাপে পড়ে, কীভাবে দক্ষিণ ভারত থেকে সে সঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে ওঠে তা নিয়ে ছবিটি।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে শালিনির জীবন ঘিরে। সে ও তাঁর দুই বন্ধু কীভাবে ট্র্যাপে পড়ে তা ফুটে উঠেছে ছবিতে। ছবিতে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে ট্রেলার মুক্তি থেকে। একটি বিতর্কের অবসান হতে শুরু হচ্ছে অন্য বিতর্ক। এক বাধা সত্ত্বেও ছবির আয় গড়েছে রেকর্ড। এদিকে প্রথমে ছবিটি নিষিদ্ধ হলেও পরে পশ্চিমবঙ্গে ছবি দেখানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে চলছে ছবির প্রদর্শন।